শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

বিজিবির ওষুধ-খাদ্য পেয়ে খুশি তারা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৫ আগস্ট ২০২২, ০৬:৪৩ পিএম

শেয়ার করুন:

বিজিবির ওষুধ-খাদ্য পেয়ে খুশি তারা

ফাতেমা বেগম। বয়স ৮০ কাছাকাছি। ২৫ বছর আগে স্বামীকে হারিয়েছেন। ছেলেরা থাকলেও কোনো খোঁজখবর নেয় না। ফলে স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে অন্যের কাছে হাত পেতে জীবন চালান। সম্প্রতি তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। কিন্তু চিকিৎসক দেখাবেন সেই অর্থ নেই। রোববার জানতে পারেন হাজারীবাগের নবাবগঞ্জ পার্কে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে। তাই ছুটে আসেন। 

তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘বাবা গত মাস থেকে আমি অসুস্থ। টাকার অভাবে ডাক্তার দেখাইতে পারি নাই। শুনলাম এখানে নাকি ডাক্তার দেখানো যাবে, তাই আসলাম। এখন ওষুধ নিব। আল্লাহ বিজিবির ভালো করুক।’


বিজ্ঞাপন


সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে শোক দিবস উপলক্ষে বিজিবির আয়োজনে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে ফ্রি চিকিৎসা সেবা পেয়ে এভাবেই নিজের অনুভূতির কথা বলছিলেন তিনি। 

তার মতোই এসেছিলেন জন্মান্ধ মজিবর রহমান। একটি মেয়ে হয়েছিল, কিন্তু তার এসএসসি পরীক্ষার সময় হঠাৎ করে মারা যায় মেয়েটি। নিজে কিছু করতে পারেন না। স্ত্রী অন্যের বাসায় কাজ করেন। যা পান তাতেই চলে সংসার। দ্রব্যমূল্যের এই বাজারে অন্যদের সাথে তিনিও বিজিবির দেওয়া বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী পেয়েছেন। মজিবর এই খাদ্যসামগ্রী পেয়ে বেজায় খুশি। তিনি বলছিলেন, ‘বিজিবি আমারে যে খাওয়ার জন্য জিনিসপাতি দিল, খুব খুশি লাগতাছে। কেউ তো খোঁজ নেয় না। যা পাইলাম তাতে তো কয়েকদিন চইলা যাইবো।’

bgb

তেমনি একজন প্যারালাইজড আক্রান্ত সাহাদাত হোসেন। ১০ বছরের ছেলেকে নিয়ে হুইল চেয়ারে বসে এসেছিলেন তিনিও। শোক দিবসে বিজিবির দেওয়া খাদ্য পেয়ে বেশ খুশি তিনি। এসময় তার ছেলে আরাফাত বলেন, বাবা আজ অনেক দিন থেকে বিছানায়। গতকাল কার্ড পেয়ে আজ বাবাকে নিয়ে আসলাম। বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের যারা মৃত্যুবরণ করেছেন আল্লাহ তাদের জান্নাতবাসী করুক।


বিজ্ঞাপন


এসেছিলেন বৃদ্ধা বানেসা ও বাসেরা বেগম। তাদের ছেলেরা থাকলেও মাকে দেখেন না। এই দুই নারীর এখন ভিক্ষা করেই চলে। আজ তারা কয়েক দিন চলার মতো খাবার পেয়ে খুশিতে কেঁদে ফেলেন। 

জানা গেল, এই খাদ্য নিতে এসেছিল হাজারখানেক মানুষ। সাথে ছিল ফ্রি চিকিৎসা সেবাও। 

বিজিবির মিডিয়া বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, আজ শুধু ঢাকায় নয় সারাদেশে তাদের এমন আয়োজন ছিল। এই আয়োজনে গরিব, দুস্থ ও অভাবী মানুষকে তারা খাদ্য তুলে দিয়েছেন। পাশাপাশি বিনা চিকিৎসা সেবাও ছিল। 

এমআইকে/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর