বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

১৪০০ কোটি টাকা পাচারের মূলহোতা শহীদুল গ্রেফতার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৪ আগস্ট ২০২২, ০২:২৭ পিএম

শেয়ার করুন:

১৪০০ কোটি টাকা পাচারের মূলহোতা শহীদুল গ্রেফতার
গ্রেফতার শহীদুল আলম। ছবি: ঢাকা মেইল

বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির নামে প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকি দিয়ে পাচারের ঘটনায় মূলহোতা শহীদুল আলমকে (৫৬) গ্রেফতার করেছেন শুল্ক গোয়েন্দারা।

শনিবার (১৩ আগস্ট) রাতে রাজধানীর হজরত শাহজালাল রহ. আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে ইতালি পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। 


বিজ্ঞাপন


রোববার (১৪ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক মানস কুমার বর্মন।

এই কর্মকর্তা জানান, মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ তুলে পল্টন থানায় সাতটি মামলা করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। সেই মামলায় শহীদুল আলমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি দেশ ছেড়ে পালাতে চেয়েছিলেন। কারণ তার নামে একাধিক মামলা রয়েছে।

আরও পড়ুন: বিদেশে পাচার হওয়া টাকা ফেরানো সম্ভব হবে?

এদিকে কাস্টমস সূত্র জানায়, শহীদুল আলম ভুয়া নাম-ঠিকানা, আয়কর সনদ, ট্রেড লাইসেন্স,  ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন, আমদানি রেজিস্টেশন সনদ, ব্যাংক হিসাব ও এলসি খুলেছিলেন। তারা উচ্চ শুল্কের পণ্য মদ, সিগারেট, এলইডি টিভি, গুঁড়ো দুধ, ফটোকপি মেশিন ইত্যাদি আমদানি করেন। এসব পণ্য তারা আমদানির নামে বিপুল শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অর্থ পাচার করেছেন। মূলত এসব পণ্য তাদের ঘোষণায় ছিল না। তারা ক্যাপিট্যাল মেশিনারিজ আনার ঘোষণা দিয়ে এর আড়ালে এসব পণ্য দেশে নিয়ে আসেন। এর মাধ্যমে তারা এক হাজার ৩৯৬ কোটি ১৪ লাখ টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন। 


বিজ্ঞাপন


শহীদুল আলম ও তার সহযোগীরা মেসার্স এগ্রো বিডি অ্যান্ড জেপি, হেনান আনহুই এগ্রো এলসি, হেব্রা ব্যাঙ্কো ও চায়না বিডিএল নামে চার প্রতিষ্ঠানের নামে এসব পণ্য আমদানি করেছিলেন। এর আগে ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর পল্টন থানায় কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের তার প্রতিষ্ঠান মেসার্স এগ্রো বিডি অ্যান্ড জেপি নামে নয়টি মামলা হয়। সেই মামলায় ৪৩১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগ কর হয়। এছাড়াও একই দিনে হেনান আনহুই এগ্রো এলসি এর নামে ৪৩৯ কোটি ১১ লাখ পাচারের অভিযোগ তুলে ছয়টি মামলা করা হয়। ওই বছরের ১২ নভেম্বর ২৯০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগ তুলে সাতটি মামলা করা হয়। এসব ছাড়াও ওই মাসের ১৯ নভেম্বর ২৩৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকা পাচারের অভিযোগ তুলে আরও সাতটি মামলা করে শুল্ক গোয়েন্দা। 

আরও পড়ুন: আদৌ কি ফেরত আসবে পাচারের টাকা?

সব মিলে শহীদুল আলমের চার প্রতিষ্ঠানের নামে ২৯টি মামলা রয়েছে। শনিবার তিনি দেশ থেকে ইতালি পালানোর সময় গ্রেফতার করে শাহজালালের ইমিগ্রেশন পুলিশ।

এমআইকে/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর