বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

থেমে নেই বাড়তি ভাড়া আদায়, বাসে বাসে বাকবিতণ্ডা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১ আগস্ট ২০২২, ০৯:০৯ পিএম

শেয়ার করুন:

থেমে নেই বাড়তি ভাড়া আদায়, বাসে বাসে বাকবিতণ্ডা
বাহন পরিবহনের একটি বাসে বাকবিতণ্ডা গড়ায় হাতাহাতিতে।

রাজধানীতে চলাচলকারী গণপরিবহনে ওয়েবিল চেকার সিস্টেম বাতিল করেছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। বেশির ভাগ বাসে ওয়েবিল সিস্টেম বন্ধ হলেও থেমে নেই এই সিস্টেমে বাড়তি ভাড়া আদায়। এ নিয়ে চলছে যাত্রীদের সঙ্গে বাস স্টাফদের তুমুল বাকবিতণ্ডা। ক্ষুব্ধ যাত্রীদের সাথে বাস স্টাফদের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটছে। নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কিছু বাসে ওয়েবিল চেক করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রাজধানীর খিলগাঁও তালতলা থেকে মতিঝিল শাহবাগ মিরপুর রুটে চলাচল করে বাহন নামের একটি বাস। এই রুটের বাসাবো মুগদা থেকে মতিঝিল শাপলা চত্বর চার্টে ভাড়া দেওয়া আছে ১০ টাকা। ওয়েবিল সিস্টেম থাকার কারণে বাসাবো থেকে মতিঝিল যেতে ২০ টাকা আদায় করতেন বাস কন্ডাক্টর। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে দেখা যায়, বাসের ওয়েবিল সিস্টেম বন্ধ থাকলেও যাত্রীদের কাছ থেকে ২০ টাকা করে আদায় করছিলেন বাস কন্ডাক্টর। এই রুটে নতুন যাত্রীদের কাছ থেকে ২০ টাকা আদায় করলেও নিয়মিত যাত্রীদের কাছে ২০ টাকা আদায় করতে গিয়ে শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। বাধ্য হয়ে কন্ডাক্টর অনেককেই বাড়তি টাকা ফেরত দিয়ে দেন।


বিজ্ঞাপন


এই রুটে নিয়মিত চলাচলকারী জাহিদ ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘এরা একেবারে মগের মুলুক পাইছে। সরকার তেলের দাম বাড়ায় একগুন, ভাড়া বাড়ায় এক গুন। এরা বাড়ায় তিন গুন। আমাদেরকে জিম্মি করে রাখছে।’

আরেকজন ক্ষুদ্ধ যাত্রী বলেন, ‘এর আগের ওয়েবিলের নামে এরা চুরি করছে, এখন ডাকাতি শুরু করেছে।’

bus2

শুধু বাহন পরিবহনই নয়, এই ‍রুটে চলাচলকারী মিডলাইন পরিবহনেও একই অভিযোগ পাওয়া যায়। এছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী অধিকাংশ বাসেই বারতি ভাড়া নেওয়া ঘটনা ঘটছে বলে জানা গেছে। এসব নিয়ে বাকবিতণ্ডা হাতাহাতির ঘটনাও ঘটছে।

এর আগে বুধবার (১০ আগস্ট) সরকারের পুনর্নির্ধারিত বাস ভাড়া কার্যকর করাসহ গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে তিনটি সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। ওই দিন সমিতির দফতর সম্পাদক সোমদানী খন্দকার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এর আগে গত ৮ আগস্ট বিকেলে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।


বিজ্ঞাপন


সিদ্ধান্তগুলো হলো- বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চার্ট অনুযায়ী ভাড়া আদায় করতে হবে। চার্টের বাইরে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না। প্রতিটি গাড়িতে দৃশ্যমান স্থানে ভাড়ার চার্ট অবশ্যই টাঙিয়ে রাখতে হবে।

কোনো পরিবহনের গাড়িতে বিআরটিএ’র পুনঃনির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া যাতে আদায় না করা হয়, সে বিষয়ে সভায় মালিকদের সমন্বয়ে নয়টি ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হয়। এসব টিম বিআরটিএ’র ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে থেকে সব অনিয়ম তদারকিসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।

ঢাকা শহর ও শহরতলী রুটে চলাচলকারী গাড়ির ওয়েবিলে কোনো স্ল্যাব থাকবে না। রাস্তায় কোনো চেকার থাকবে না। এক স্টপেজ থেকে আরেক স্টপেজ পর্যন্ত গাড়ির দরজা বন্ধ থাকবে, খোলা রাখা যাবে না। রুট পারমিটের স্টপেজ অনুযায়ী গাড়ি থামাতে হবে।

অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ভিজিল্যান্স টিমের কার্যক্রম চলমান থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানায় সমিতি।

টিএই/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর