রাজধানীর রামপুরা এলাকায় বালিশচাপায় ঝুমু নামে পাঁচ বছরের এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মায়ের বিরুদ্ধে। শম্পা আক্তার নামের ওই মাকে আটক করেছে পুলিশ। তবে তিনি মানসিক রোগে আক্রান্ত বলে জানিয়েছে পরিবার।
রোববার (৭ আগস্ট) বিকেল চারটার দিকে রামপুরা টিভি সেন্টারের পাশে কুঞ্জবনের চিপাগলি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তাদের গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরের ডামুড্ডা উপজেলায়।
বিজ্ঞাপন
বিষয়টি নিশ্চিত করে রামপুরা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ঢাকা মেইলকে বলেন, শিশুটিকে হত্যার সময় বাসায় থাকা অন্য সদস্যরা ছুটে আসেন এবং তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি বলেন, ওই নারী মানসিক রোগে আক্রান্ত। তাকে চার/পাঁচ দিন আগে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনা হয়। তাকে সবসময় পরিবারের লোকজন শেকল দিয়ে বেঁধে রাখতেন। আজ বিকেল চারটার দিকে শিশুটিকে তার মা ডেকে নেন এবং শেকলের কাছে গেলে কোলে বসিয়ে বালিশচাপায় হত্যা করেন।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ওই নারী সিজোফেনিয়া রোগে আক্রান্ত বলে তার পরিবার জানিয়েছে। তিনি এখন আমাদের পাশেই আছেন। তাকে শেকলে বেঁধে রাখা হয়েছে। এই অবস্থায় তাকে কীভাবে থানায় নেওয়া হবে আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছি। শিশুটির মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। সেখানে আমাদের পুলিশ সদস্যরা রয়েছেন। এই ঘটনায় পরিবার মামলা করবে কি না এখনও কিছুই জানায়নি। তবে ওই নারীকে আমরা থানায় নেওয়ার ব্যবস্থা করছি।
শিশুটির মামা জামাল উদ্দিন জানান, তার বোন মানসিক রোগে আক্রান্ত। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনা হয়েছিল। তাকে একটি ঘরে বেঁধে রাখা হয়েছিল। আজ বিকেলে শিশুটিকে ডেকে নিয়ে কোলে বসিয়ে বালিশচাপায় হত্যা করেন। তিনি শিশুটিকে উদ্ধার করে ঢামেকে নিয়ে আসেন, কিন্তু ততক্ষণে তার মৃত্যু হয়।
বিজ্ঞাপন
এমএইকে/জেবি
