শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ব্যক্তি নয় জাতির স্বার্থে কাজ করার আহ্বান স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫ আগস্ট ২০২২, ০৫:৪১ পিএম

শেয়ার করুন:

ব্যক্তি নয় জাতির স্বার্থে কাজ করার আহ্বান স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর
ছবি: ঢাকা মেইল

দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের তরে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাজধানীতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর অডিটোরিয়ামে স্থানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।


বিজ্ঞাপন


মন্ত্রী বলেন, শুধু ব্যক্তির উন্নয়ন করে দেশকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নেওয়া যাবে না। সবার আগে আমরা এদেশের নাগরিক। দেশের বাইরে ব্যক্তি নয়, দেশ দিয়ে উন্নয়নের মাপকাঠি করা হয়। এমন কিছু করা যাবে না যাতে আগামী প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

মো. তাজুল ইসলাম জানান, এক সময় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ মুছে ফেলা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাপ্য সম্মান থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। যারা জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছেন। তাদেরকে তিরস্কার করা হয়েছে। স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিতর্ক তৈরির মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করেছে। কিন্তু শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ সম্মান দিয়ে নানা সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃতি ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন।

ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে গোটা জাতিকে বিভক্তির চেষ্টা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জয় বাংলা স্বাধীনতার স্লোগান। বাংলাদেশের জন্মের স্লোগান। এই স্লোগানকে অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। যারা বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে অস্বীকার করে, জয় বাংলা বুকে ধারণ করে না। এই গোষ্ঠী দেশের স্বাধীনতাকে কখনোই মনে প্রাণে মেনে নেবে না এটাই স্বাভাবিক। এরাই দেশে বসে স্বাধীনতার বিরোধিতা করে। দেশে অরাজকতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করবে তাদেরকে তো স্যালুট দেওয়া যাবে না। তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব হতে পারে না। 

মন্ত্রী বলেন, এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য বঙ্গবন্ধু সারা জীবন লড়াই-সংগ্রাম ও আন্দোলন করেছেন। তিনি মানুষকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসতেন। তার চিন্তা-চেতনায় ছিল মানুষের কল্যাণ। একইভাবে তার সন্তানরাও সেই মানসিকতায় বড় হয়েছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং কার্যক্রমে তা প্রমাণ করে। বঙ্গবন্ধুর পরিবারের কাছে বাঙালি জাতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকবে।


বিজ্ঞাপন


প্রধান অতিথি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা এদেশের মানুষের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন করতে পারেনি। দেশকে ভিক্ষুক আর মিসকিন জাতিতে রূপান্তর করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে দেশকে দারিদ্র্যের কষাঘাত থেকে মুক্তি দিয়েছেন। সকল খাতে আজ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠপুত্র ক্যাপ্টেন শেখ কামাল বহু প্রতিভার অধিকারী ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের আধুনিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পথিকৃৎ। নতুন প্রজন্মের কাছে শেখ কামাল অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য। 

এছাড়া এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ মহসীন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ ও এর আওতাধীন বিভিন্ন দফতর/সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বননী কবরাস্থানে শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহিদের রূহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া করেন।

টিএ/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর