গ্যাসের দাম আবারও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। এছাড়া বিদ্যুতের দাম বাড়বে কিনা সে বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) সকালে রাজধানীর বারিধারার নিজ বাসায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আবারও গ্যাসের দাম বাড়ানো হতে পারে। আর বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়টি বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) প্রক্রিয়াধীন আছে।
রাজধানীর চেয়ে বাইরে লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি বেশি এমন তথ্য দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান। বলেন, যেকোনো প্রতিষ্ঠান বা বাসা-বাড়ি তাদের সোলার প্যানেল ব্যবহার করে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত করলে মোট বিদ্যুৎ খরচ ২০ শতাংশ হ্রাস করতে পারে।
সেপ্টেম্বর নাগাদ বিদ্যুৎ পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে বলে এমন আশ্বাস দিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, আমরা বিদ্যুৎ পরিস্থিত আরও নিয়ন্ত্রিত ও লোডশেডিং কমিয়ে আনার চিন্তাভাবনা করছি।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আসলে আগে যে নতুন প্রযুক্তি আসতে কয়েক দশক লেগে যেত, এখন কয়েক মাসের মধ্যে নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে। আর এ কারণেই আমরাও তা ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি। নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট, এরপর হাইড্রোজেন প্ল্যান্ট- সামনে হয়তো নতুন আরও কিছু আসবে। সেটি ব্যবহারের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, অনেকের কাছ থেকে অফার পাচ্ছি জ্বালানি তেল কেনার বিষয়ে। তবে এখনো এ নিয়ে উপসংহারে আসিনি। এক মাস গেলে সব তথ্য বিশ্লেষণ করে বুঝতে পারব- কী হারে জ্বালানি সাশ্রয় হলো।
রাত আটটার পর দোকান খোলা সম্ভব নয় জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ব্যবসায়ীরা চাইলেও রাত আটটার পর দোকান খোলা রাখা সম্ভব নয়। দোকান মালিকদের কোনো আবেদন শোনা হবে না। রাত আটটাতেই বন্ধ করতে হবে দোকান। এছাড়া জরুরি সেবায় নিয়োজিত বাদে বাকি সব প্রতিষ্ঠানও রাত আটটার মধ্যে বন্ধ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সরকারি গাড়ি যত্রতত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। সরকারি কাজ ছাড়া কেউ ব্যক্তিগত কাজে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টিএই/এমআর