জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শহীদ শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী আজ (৫ আগস্ট)। ১৯৪৯ সালের ৫ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন শেখ কামাল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে মাত্র ২৬ বছর বয়সে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে তাকেও হত্যা করা হয়।
শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষ্যে শুক্রবার সকাল আটটায় রাজধানীর ধানমন্ডি আবাহনী ক্লাব প্রাঙ্গণে তার প্রতি শ্রদ্ধা অর্পন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। সকাল সোয়া ৯টায় বনানী গোরস্থানে একই কার্যক্রম পালন করা হবে। এই দুই অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন করবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
বিজ্ঞাপন
বেলা ১১ টায় ২৩ নং বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ‘তারুণ্যের জেগে ওঠার নাম শেখ কামাল’ শীর্ষক আরেকটি আলোচনা সভা করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।
মৎস্যজীবী লীগের উদ্যোগে বিকাল ৫ টায় ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির আয়োজনে আরও একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বিএফ শাহীন স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক (সম্মান) পাস করেন বঙ্গবন্ধুপুত্র। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাতবরণের সময় তিনি সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
ছায়ানটের সেতারবাদন বিভাগেরও ছাত্র ছিলেন শেখ কামাল। বন্ধু শিল্পীদের নিয়ে তিনি গড়ে তুলেছিলেন ‘স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠী’। ব্যক্তিজীবনে তিনি শিল্প-সংস্কৃতির পাশাপাশি ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, বাস্কেটবলসহ বিভিন্ন খেলাধুলায় উৎসাহী ছিলেন। তিনি ছিলেন আবাহনী ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠাতা।
বিজ্ঞাপন
১৯৭৫ সালের ১৪ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ব্লু’ খ্যাতিপ্রাপ্ত দেশবরেণ্য অ্যাথলেট সুলতানা খুকুর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন শেখ কামাল। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ওয়ার কোর্সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে মুক্তিবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন ও মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল এম এ জি ওসমানীর এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
স্বাধীনতার পর শেখ কামাল সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি নেন এবং পুনরায় লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এবং পরে বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন জাতীয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।
কারই/এআইএ