শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

‘জ্বালানি সনদ চুক্তি একপেশে এবং ভারসাম্যহীন’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪ আগস্ট ২০২২, ০২:১৩ পিএম

শেয়ার করুন:

‘জ্বালানি সনদ চুক্তি একপেশে এবং ভারসাম্যহীন’
ছবি: ঢাকা মেইল

জ্বালানি সনদ চুক্তিটির আইনি কাঠামো বেশ একপেশে এবং ভারসাম্যহীন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান। তিনি বলেছেন, জ্বালানি সনদ চুক্তি ক্যাব প্রস্তাবিত জ্বালানি রূপান্তর নীতি বাস্তবায়নকে অসম্ভব করে তুলতে পারে। শুধু বিদেশি বিনিয়োগকারীর স্বার্থ রক্ষায় এই আন্তর্জাতিক আইনি কাঠামোটি একপেশেভাবে কার্যকর। তাই জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় জ্বালানি সনদ চুক্তির বিরোধিতা করাটাই মূল কাজ।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) আয়োজিত ক্যাব প্রস্তাবিত জ্বালানি রূপান্তর নীতি বাস্তবায়নে জ্বালানি সনদ চুক্তির ভূমিকা শীর্ষক এনজিও প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


সংলাপে ক্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক এম শামসুল আলমের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান এবং প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান। 

সংলাপে অংশগ্রহণ করেন প্রকৌশলী শুভ কিবরিয়া, অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির, ক্যাবের কোষাধ্যক্ষ ড. মনজুর ই-খোদাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত এনজিও সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

প্রবন্ধ উপস্থাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান বলেন, রাষ্ট্র কিছু প্রতিষ্ঠানের সুবিধার জন্য দেশের পরিবেশ প্রতিবেশ নষ্ট করে দিচ্ছে। এটা হতে পারে না। এই জ্বালানি চুক্তি স্বাক্ষরে আরও চিন্তা করা দরকার। এই চুক্তিকে না বলা জরুরি। তাই রাষ্ট্র যেন এই চুক্তিতে স্বাক্ষর না করে।  

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, পাকিস্তান আমলের ২২ পরিবারের মতো বর্তমানেও সরকারকে ব্যবহার করে কিছু ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী সুবিধা নিচ্ছে। তাই এধরনের জ্বালানি সনদ চুক্তি করলে পুনরায় তাদেরকে সুযোগ করে দেওয়া হবে। আমরা দিন জ্বালানি সেক্টর চালানোর সক্ষমতা আমরা হারিয়েছি। আমরা একটি পাওয়ার প্ল্যান্ট চালাতে পারি না। বিদেশ থেকে প্রশিক্ষিত কর্মী আনতে হয়। আমাদের সক্ষমতা শুধু দেশের জ্বালানি খাতের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া। 


বিজ্ঞাপন


তিনি বলেন, যে টাকা গ্যাস উৎপাদন ও উত্তোলনে খরচ করার কথা সেটি ব্যবহার করা হয়েছে আমদানিতে। জনগণের টাকা এভাবে খরচ করা লুণ্ঠনের মতো। সমুদ্রের গ্যাস উত্তোলন করতে না পারলে স্থলের গ্যাস উত্তোলন করা যায় বাপেক্সকে দিয়ে। কিন্তু সেটি করা হচ্ছে না। করা হচ্ছে শুধু আমদানি যার ফলে মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ক্ষতিকর ফলের শিকার হচ্ছে জনগণ। ভোক্তার অধিকার রক্ষায় কিছুই করা হচ্ছে না যার ফলাফল মানুষ সক্ষমতা হারাচ্ছে। আর দেশে বিদ্যুৎ জ্বালানির সংকট। 

এসএএস/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর