বাসায় মাদক পাওয়ার অভিযোগে দেশে ফিরিয়ে আনা জাকার্তার বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি চীফ অব মিশন কাজী আনারকলির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বুধবার (৩ আগস্ট) থেকে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
তদন্তে কূটনীতিক কাজী আনারকলির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে চাকরিবিধি অনুযায়ী শাস্তি পেতে হবে বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি জাকার্তা দূতাবাসের ডেপুটি চীফ অব মিশনের কাজী আনারকলির বিরুদ্ধে সেখানকার বাসায় মাদক রাখার অভিযোগ ওঠে। যা নিয়ে গণমাধ্যমে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে তাকে সেখান থেকে প্রত্যাহার করে দেশে ফিরিয়ে আনে মন্ত্রণালয়।
এদিকে আনারকলির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামসকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। বুধবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
গত ১৭জুলাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ইন্দোনেশিয়া সফরকালে আনারকলির ঘটনাটি জাকার্তার বাংলাদেশের দূতাবাসের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে জেনে বিষয়ে যথাযথ তদন্তের নির্দেশনা দেন।
সূত্র জানায়, গত ৫ জুলাই কাজী আনারকলির জাকার্তার বাসায় অভিযান চালায় ইন্দোনেশিয়ার মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। সে সময় তাঁর বাসায় নিষিদ্ধ মাদক মারিজুয়ানা পাওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরে ইন্দোনেশিয়া সরকারের অনুরোধে তাকে ঢাকায় ফেরত আনা হয়। তবে কাজী আনারকলি নাইজেরিয়ার একজন নাগরিকের সঙ্গে অ্যাপার্টমেন্ট শেয়ার করতেন। তিনি নাকি নাইজেরিয়ার নাগরিক মাদকদ্রব্য রেখেছিলেন, সে বিষয়ে এখনো জাকার্তার পক্ষ থেকে ঢাকাকে জানানো হয়নি।
বিজ্ঞাপন
পরে ইন্দোনেশিয়া থেকে তাকে প্রত্যাহার করে আনা হয়। বিষয়টি নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার কাছে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ। তবে ইন্দোনেশিয়া থেকে এখনো জবাব আসেনি।
এদিকে তার কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আনারকলির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ইন্দোনেশিয়ায় বাংলাদেশ মিশনের উপ-প্রধান কাজী আনারকলির বাসায় মাদক পাওয়া এবং তাকে প্রত্যাহারের ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক ও বিব্রতকর’ বলে মন্তব্য করেছেন।
বিইউ/ একেবি