শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

অন্য মেয়েকে বিয়ে করায় নূরকে হত্যা করেন আহিনা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩ আগস্ট ২০২২, ০৩:৪৫ পিএম

শেয়ার করুন:

অন্য মেয়েকে বিয়ে করায় নূরকে হত্যা করেন আহিনা

সাভারের আশুলিয়ায় অটোরিকশা চালক আলী নূর হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

চার দিন আগে সংঘটিত ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২৯ বছর বয়সী আহিনাকে বুধবার (৩ আগস্ট) নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে এলিট ফোর্সটি। এরপর তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডের কারণ জানতে পারে র‌্যাব।


বিজ্ঞাপন


দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৪ এর সিও ডিআইজি মোজাম্মেল হক জানান, স্বামী-স্ত্রীর মতো একসঙ্গে দীর্ঘদিন থেকেও অন্য নারীকে বিয়ে করায় নূরকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে আহিনা।

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, ২০১৪ সালে নূর আলী মাগুরার শ্রীপুর থেকে ঢাকায় আসেন। এরপর একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেন। সেখানে পরিচয় হয় আহিনা আক্তারের সঙ্গে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সূত্র ধরে বিয়ে না করেও তারা স্বামী ও স্ত্রী পরিচয়ে বিভিন্ন বাসায় থাকতে শুরু করেন।

গত ৩ বছরে পাঁচবার বাসা বদল করে তারা। সর্বশেষ আশুলিয়ার জিরাবো নামাপাড়া এলাকার একটি বাসা ভাড়া নেন তারা। গত ১৪ জুলাই নূর আলী গ্রামে গিয়ে আবার ফিরে আসেন। অটোচালক নূর গ্রামে গিয়ে অন্য নারীকে বিয়ে করেছেন বলে খবর পান আহিনা। বিষয়টি জানার পর ক্রোধে পেটে পড়েন। এজন্য হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকেন।

rab-4


বিজ্ঞাপন


গত ৩০ জুলাই জিরাবোর বাসায় রাতে খেয়ে দুজনই ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু আহিনা না ঘুমিয়ে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে। একপর্যায়ে রাতেই ঘুমন্ত নূর আলীকে বটি দিয়ে মাথা, গলা ও বুকে কোপাতে থাকে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশটি কাঁথায় মুড়িয়ে রেখে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।

দুই দিন পর নিহতের ভগ্নিপতিকে ফোন করে আহিনা জানায়, নূর আলী খুব অসুস্থ। তাকে যেনো তারা দেখতে আশুলিয়ার সেই বাসায় যান। খবর পেয়ে তারা সেখানে গিয়ে দেখতে পান ঘরে তালা। পরে বাড়ির মালিককে ডেকে দরজা ভাঙলে ঘর থেকে দুর্গন্ধ আসতে থাকে। পরে তারা ঘরের মেঝেতে কাঁথায় মোড়ানো নূর আলীর পঁচে যাওয়া লাশটি দেখতে পান। এরপর থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নূর আলীর পরিবার আহিনাকে আসামি করে একটি মামলা করেন। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

র‌্যাব-৪ এর সিও ডিআইজি মোজাম্মেল হক আরও জানান, গ্রেফতার আহিনার গ্রামের বাড়ি নীলফামারী জেলায়। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করার পর ২০১২ সালে তার বিয়ে হয়ে যায়। পারিবারিক কলহে দেড় বছরের মাথায় স্বামীর সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়। সেই ঘরে তার একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। পরে জীবিকার তাগিদে আহিনা ঢাকায় আসে এবং ২০১৮ সালে গার্মেন্টসে চাকরি নেন। সেই সুবাদে নূর আলীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়েছিল।

এমআইকে/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর