পবিত্র হজ পালন শেষে দেশে ফিরেছেন ৪৭ হাজার ৯১০ জন হাজি। ১৩৩টি ফিরতি ফ্লাইটে দেশে ফেরেন তারা। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালিত ৭২টি; সৌদি এয়ারলাইন্স পরিচালিত ৫৪টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিচালিত সাতটি।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দিবাগত রাত ২টায় হজ সম্পর্কিত প্রতিদিনের বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এয়ারলাইনস, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ হজ অফিস ঢাকা এবং সৌদি আরব সূত্রে এ তথ্য জানিয়েছে হেল্পডেস্ক।
বিজ্ঞাপন
বুলেটিনে আরও জানানো হয়েছে, ‘সরকারি ব্যবস্থাপনায় আগত ১০ম ফ্লাইটের সম্মানিত হাজিরা আজ স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১০ মিনিটে মদিনাস্থ প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিজি-৩৭২২ ফ্লাইটযোগে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেছেন।’
এর আগে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হয় গত ৮ জুলাই। এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৬০ হাজার ১৪৬ জন হজ পালন করেছেন। বাংলাদেশ থেকে মোট ১৬৫টি হজ ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালনা করেছে ৮৭টি। এসব ফ্লাইটে ৩০ হাজার ৩৬৩ জন হজযাত্রী পরিবহন করেছে পতাকাবাহী এয়ারলাইনটি।
এছাড়াও সৌদি এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ৬৪টি ফ্লাইটে ২৩ হাজার ৯১৯ জন হজযাত্রী। আর ফ্লাইনাস পরিবহন করেছে ১৪টি ফ্লাইটে পাঁচ হাজার ৮৬৪ জন হজযাত্রী। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রা শুরু হয় ৫ জুন, শেষ হয় ৫ জুলাই।
গত ৮ জুলাই মহামারি করোনাভাইরাসের ধাক্কা সামলে দুই বছর পর সারা বিশ্বের মুসলিমদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এবারের হজ। প্রায় ১০ লাখ লোকের অংশগ্রহণে আয়োজন করা হয় এবারের হজ। ইতোমধ্যে বেশির ভাগ হজযাত্রী নিজ নিজ দেশে ফিরে গেছেন। হজের পরপর ওমরা ভিসাও চালু করেছে সৌদি আরব। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ওমরাকারীরা পবিত্র কাবাঘর জিয়ারতে যাচ্ছেন।
গত দুই বছর করোনা মহামারির কারণে হজে কড়াকড়ি আরোপ করেছিল সৌদি সরকার। ২০২০ সালে সৌদি আরবে বাসকারী মাত্র এক হাজার মানুষ পেয়েছিল হজের অনুমতি। গত বছর সংক্রমণ কিছুটা কমে আসায় অনুমতি পেয়েছিলেন ৬০ হাজার মুসলিম। এবার বিশ্বের অন্তত ১০ লাখ মানুষ অংশ নেন হজে। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ এবারের হজে অংশ নেন। মোট অংশগ্রহণকারীর ৮৫ শতাংশই বিদেশি নাগরিক।
টিএই/জেবি