বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

নির্বাচন-পূর্ব পরিস্থিতি মনিটরিংয়ে বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশ ইসির

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:০০ পিএম

শেয়ার করুন:

জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে আজ
জাতীয় নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হচ্ছে আজ

নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম প্রতিরোধ, ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখা এবং নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা আরও দৃশ্যমান করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশে নির্বাচন-পূর্ব পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে মনিটরিংয়ের জন্য ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিম, নির্বাচন মনিটরিং টিম, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেল এবং ভ্রাম্যমাণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ইউনিট (মোবাইল টহল ইউনিট) গঠনের নির্দেশ দিয়েছে সংস্থাটি।

সম্প্রতি ইসির উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেনের স্বাক্ষরে জারি করা এ সংক্রান্ত পরিপত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।


বিজ্ঞাপন


পরিপত্রে বলা হয়েছে, আসনভিত্তিক জেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকায় ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিম, নির্বাচন মনিটরিং টিম এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার। উপজেলা ও মেট্রোপলিটন (থানা) পর্যায়ে ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিমের সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন সহকারী রিটার্নিং অফিসার।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্যভাবে অনুষ্ঠিত করতে গঠিত কমিটিগুলো আইন ও বিধিমালা অনুসরণ করে দায়িত্ব পালন করবে। এসব কমিটির দায়িত্বের মধ্যে থাকবে নিরপেক্ষতা বজায় রাখা, আচরণ বিধি ও আইন প্রয়োগ, ভোটারদের ভোটদানে উৎসাহ দেওয়া, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা এবং ভোটারদের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করা। পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করা, ভ্রাম্যমাণ টহল পরিচালনা করা এবং যেকোনো অনিয়ম প্রতিরোধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পরিপত্র অনুযায়ী, জেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকায় সরকারি কর্মকর্তা ও দল-নিরপেক্ষ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে এবং উপজেলা ও থানা পর্যায়ে একই ধরনের ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিম গঠন করা হবে। কমিটি গঠনের পর সদস্যদের নাম ও মোবাইল নম্বর জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে হবে।

ভিজিল্যান্স ও অবজারভেশন টিম আচরণ বিধি লঙ্ঘন, নির্বাচনি ব্যয়ের সীমা তদারকি, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ, মামলা বা অভিযোগ দায়ের এবং প্রতিদিন পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রতিবেদন কমিশনে পাঠাবে। একই সঙ্গে প্রার্থী, দল ও এজেন্টদের আচরণ বিধিমালা ও তা ভঙ্গের শাস্তি, বিশেষ করে প্রার্থিতা বাতিলের বিধান জানানো হবে।


বিজ্ঞাপন


তফসিল ঘোষণার পর প্রতিটি আসনে নির্বাচন মনিটরিং টিম গঠন করা হবে এবং প্রতি তিন দিন অন্তর বা প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক প্রতিবেদন পাঠাতে হবে। নির্বাচনি এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সেল গঠন করে নিয়মিতভাবে কমিশনকে অবহিত করতে হবে।

সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিতে অভিযোগের তাৎক্ষণিক তদন্ত, নারী ভোটারসহ সকল ভোটারকে নির্ভয়ে ভোটদানে উৎসাহ, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার এবং চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাস্তানদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশ সুপার বা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে আলোচনা করে জেলা পর্যায়ে বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এমএইচএইচ/এআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর