মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

দুর্ঘটনা, সহিংসতা, অগ্নিসংযোগ ও আন্দোলনের বছর 

আব্দুল হাকিম
প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৫৭ এএম

শেয়ার করুন:

S
চলতি বছরে ঘটে যাওয়া আলোচিত কয়েকটি ঘটনার খন্ডচিত্র। ছবি- ঢাকা মেইল

২০২৫ সালটি ঢাকাবাসীর জীবনে রাজনৈতিক উত্তেজনা, জননিরাপত্তা সংকট, পরিবেশগত বিপর্যয় এবং সামাজিক পরিবর্তনের বছর হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বছরের প্রতিটি মুহূর্তে রাজধানী ছিল আন্দোলন, বিক্ষোভ, দুর্ঘটনা এবং জনজীবনের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কেন্দ্রবিন্দু। এই সালটি রাজনৈতিক অস্থিরতা, ধর্মীয় ও সামাজিক সংঘর্ষ, পরিবেশগত বিপর্যয় এবং নাগরিক জীবনের সমস্যার এক জটিল বাস্তবতা তুলে ধরেছে।

রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আন্দোলন


বিজ্ঞাপন


২০২৫ সালের শুরু থেকেই রাজধানী ছিল রাজনৈতিক উত্তেজনার কেন্দ্রে। ফেব্রুয়ারি ৫‑৬ তারিখে ধানমণ্ডি ৩২, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি বাসভবন ‘সুধাসদনে’ হামলা ও অগ্নিসংযোগ, শেখ মুজিবুর রহমানের পুরনো আবাসিক বাড়ি ও স্মৃতি সংগ্রহশালার আশপাশে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ ঘটে। এছাড়া ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্টদের বাসভবন ও স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

খুলনা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুরসহ দেশের আরও কয়েকটি স্থানে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি ও শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভাঙচুর করা হয়। এতে বামপন্থী ও ধর্মীয় সংগঠনের সমর্থকরা অংশ নেয় এবং সামরিক ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানবিরোধী সংকল্প প্রকাশ করে। সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫ জন নিহত ও শতাধিক আহত হন।

নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। মার্চে হিজবুত তাহরির সমর্থকরাও বায়তুল মোকাররম মসজিদে র‌্যালি আয়োজন করে। রাজধানীতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকায় নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীরের একটি মিছিল টিয়ারশেল ও সাউন্ডগ্রেনেড ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। ৭ মার্চ বায়তুল মোকাররম থেকে ‘মার্চ ফর খিলাফত’ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় হিযবুত তাহ্‌রীর। শুক্রবার জুমার নামাজের পর মসজিদের দক্ষিণ গেট এলাকা থেকে মিছিল বের করে সংগঠনটি। খিলাফত ভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন তারা। 

তবে ওই এলাকায় আগে থেকেই পুলিশ সদস্যের সতর্ক উপস্থিতি ছিল। পুলিশের বাধা অতিক্রম করে পল্টন মোড় হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড়ের দিকে এগোতে থাকে মিছিলটি। এ সময় পুলিশ আবার তাদের থামানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। ছোড়া হয় সাউন্ডগ্রেনেড। মিছিলে লাঠিচার্জও করা হয়। পুলিশের তৎপরতায় ছত্রভঙ্গ হয়ে বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়ে মিছিলকারীরা। অনেকে আশেপাশের গলিতে আশ্রয় নেয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কয়েকজনকে আটক করতে দেখা যায়।


বিজ্ঞাপন


ধর্মীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে আন্দোলন

১২ এপ্রিল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে ‘মার্চ ফর গাজা’ নামে এক বৃহৎ সমাবেশে লাখ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করে। সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য ফিলিস্তিনের পক্ষে একাত্মতা প্রদর্শন করা হলেও এটি জাতীয় রাজনীতির ওপর আন্তর্জাতিক ইস্যুর প্রভাবের স্বরূপ হিসাবেও দেখা হয়।

এছাড়া ধর্মীয় ও সামাজিক আন্দোলনগুলো দেশের অন্যান্য শহরেও প্রভাব বিস্তার করে। ফরিদপুরে একটি সংগীতানুষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটে, যা সাংস্কৃতিক পরিবেশকে প্রভাবিত করে। এতে প্রায় ২৫ জন আহত হন।

আইনশৃঙ্খলা ও সহিংসতা

রাজধানীর পুরান ঢাকা এলাকায় ৯ জুলাই ঘটে লাল চাঁদ সোহাগ হত্যাকাণ্ড। ব্যবসায়িক বিবাদ ও রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে তাকে নির্মমভাবে পাথর মেরে হত্যা করা হয়। সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও অসন্তোষ তৈরি করে।

১১ নভেম্বর চারটি আলাদা স্থানে ক্রুড বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। সরকার সমর্থিত কর্মকর্তাদের কর্মস্থলসহ বিভিন্ন জায়গায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। বড় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি, তবে পুলিশ তদন্ত অব্যাহত রেখেছে। ২৪ ডিসেম্বর মগবাজার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবনের সামনে বোমা বিস্ফোরণে একজন নিহত হন। এই ঘটনা রাজধানীর নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা প্রকাশ করে।

দুর্ঘটনা ও জনজীবন

জুলাই ২১‑এ একটি সামরিক বিমান (এফ‑৭) অনুশীলনের সময় মাইলস্টোন স্কুল ক্যাম্পাসে আছড়ে পড়ে। এতে কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত এবং প্রায় ২০০ জন আহত হন। এই দুর্ঘটনা সামরিক ও সাধারণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটি প্রকাশ করে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিনই ছোট-বড় ট্রাফিক দুর্ঘটনা ঘটে। বিশেষত সকাল ও সন্ধ্যার সময় যানজট এবং দুর্ঘটনা জনজীবনে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেয়।

ভূমিকম্প ও পরিবেশগত ঝুঁকি

২১ নভেম্বর সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ঢাকাসহ সারাদেশে অনুভূত হয় ৫.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প। এতে অন্তত ১০ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়। প্রাচীন ও দুর্বল ভবনগুলোতে ব্যাপক ফাটল এবং টিল্ট হয়ে পড়া কাঠামোর ঘটনা ঘটে। অনেক ভবনকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ডিসেম্বরেও ঢাকায় কম তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়, যা নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। রাজধানীর রাজনৈতিক নেতা ও নাগরিক সমাজ এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য নির্মাণ মান ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা দ্রুত উন্নয়নের দাবি জানান।

কারখানা অগ্নিকাণ্ড ও শিল্প দুর্ঘটনা

২০২৫ সালজুড়ে রাজধানী ঢাকা একের পর এক অগ্নিকাণ্ডে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আবাসিক ভবন, শিল্পকারখানা, বাজার, গুদাম ও ঐতিহাসিক স্থাপনায় ঘটে যাওয়া আগুনের ঘটনায় প্রাণহানি, সম্পদ ধ্বংস ও জনজীবনে চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। ফায়ার সার্ভিস ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, শুধু বড় অগ্নিকাণ্ডেই শতকোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

গত ১৮ মার্চ মিরপুর–১০ শিল্প এলাকায় একটি গার্মেন্টস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। ছয়তলা ভবনটিতে কাজ চলাকালে আগুন ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তেই পুরো কারখানাটি ভস্মীভূত হয়। এ ঘটনায় ১২ জন শ্রমিক নিহত এবং অন্তত ৪০ জন আহত হন। পোশাক, কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি পুড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৩৫ কোটি টাকা।

৯ এপ্রিল দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে কেমিক্যাল ও প্লাস্টিক সামগ্রীর গুদামে আগুন লাগার ঘটনা রাজধানীর আশপাশের এলাকাজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। দাহ্য পদার্থের কারণে একের পর এক বিস্ফোরণে চারটি গুদাম সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন এবং আনুমানিক ২০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।

পুরান ঢাকার চকবাজারে ২২ মে একটি আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডে আবারও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। পাঁচতলা ভবনটির কয়েকটি তলায় আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় আটজন নিহত ও ২৫ জন আহত হন। ভবন ও মালামাল পুড়ে ক্ষতির পরিমাণ ১২ থেকে ১৫ কোটি টাকা বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।

১৪ জুন তেজগাঁও শিল্প এলাকায় একটি ওয়্যারহাউজে আগুন লাগলে বিপুল পরিমাণ পণ্য ও কাঁচামাল পুড়ে যায়। কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৮ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। সৌভাগ্যক্রমে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ঈদের আগেই ৭ জুলাই যাত্রাবাড়ী বাস টার্মিনাল সংলগ্ন একটি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুনে প্রায় ৩০০ দোকান পুড়ে যায়। ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, অধিকাংশ দোকানে কোনো অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ২৫ কোটি টাকা এবং অন্তত ১০ জন আহত হন।

১৯ আগস্ট ধোলাইখালের লোহার স্ক্র্যাপ মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে বিস্ফোরণসহ ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। স্ক্র্যাপ ও গুদাম পুড়ে আশপাশের দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে সাতজন আহত হন এবং প্রায় ২২ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে ধারণা করা হয়।

২৮ সেপ্টেম্বর উত্তরা সেক্টর–৭ এর একটি বহুতল আবাসিক ভবনে আগুন লাগলে চারটি ফ্ল্যাট সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে দুইজন নিহত এবং ১২ জন আহত হন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৮ থেকে ১০ কোটি টাকা বলে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়।

১৬ অক্টোবর কাওরান বাজারের পাইকারি সবজি ও ফলের আড়তে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। গভীর রাতে লাগা আগুনে একাধিক আড়ত ধ্বংস হয়। এতে অন্তত ১৪ কোটি টাকার পণ্য নষ্ট হলেও কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।

২৪ নভেম্বর বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে রাজধানীর মহাখালীর কড়াইল বস্তিতে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগ আগুন লাগার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রাথমিকভাবে সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠায়, পরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে মোট ২১টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজে যোগ দেয়। আগুন দমাতে সংকীর্ণ গলি, পানির সরবরাহ কম থাকায় ফায়ার সার্ভিসের কাজ বেশ সময়সাপেক্ষ ছিল এবং সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। শেষ পর্যন্ত রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে আগুনকে বড় পরিসরে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

ঘনবসতিপূর্ণ এই বস্তির সংখ্যালঘু অংশে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। দেখা যায়, একাধিক টিন ও বাঁশের ঘর মুহূর্তের মধ্যে আগুনে ঢেকে যায়, ফলে প্রায় ১,২০০-১,৫০০টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায় এবং হাজার হাজার পরিবার একত্রে ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়। আবাসহীন হয়ে পড়া বাসিন্দারা স্থানীয় মাঠ ও খোলা জায়গায় রাত কাটাতে বাধ্য হন, ধোঁয়া ও আগুনের ধুলো পুরো এলাকা ঢেকে দেয়।

শিক্ষা, সচেতনতা ও নাগরিক উদ্যোগ

২০২৫ সালে শিক্ষা ও সামাজিক সচেতনতার ক্ষেত্রে ইতিবাচক উদ্যোগ দেখা গেছে। ভূমিকম্পসহ অন্যান্য বিপর্যয় মোকাবিলা এবং নাগরিক উদ্যোগের মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম শুরু হয়। ঢাকার পরিবেশগত আলোচনার মধ্যে ট্রাফিক ও যানজট সমস্যা সমাধানের জন্য প্রযুক্তিভিত্তিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ওড়ঞ ভিত্তিক যানজট এবং জলের স্তর শনাক্তকরণ ব্যবস্থা প্রস্তাব করা হয়, যা স্বয়ংক্রিয় সতর্কতা দিতে সক্ষম।

রাজধানীর পরিবেশ ও নাগরিক জীবন

ঢাকার পরিবেশগত সমস্যা, যানজট, দূষণ ও জনসংখ্যার চাপ নগরীর প্রধান চ্যালেঞ্জ। বছরের বিভিন্ন সময়ে বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা এবং যানজট বৃদ্ধি পায়, যা জনগণের দৈনন্দিন জীবনে বড় সমস্যা তৈরি করে। শহরের পরিবেশগত ঝুঁকি এবং নাগরিক নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০২৫ সালে ঢাকা শহর রাজনৈতিক উত্তেজনা, সামাজিক আন্দোলন, নিরাপত্তা সংকট, পরিবেশগত বিপর্যয়, শিল্প দুর্ঘটনা এবং নাগরিক জীবনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়।

রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আন্দোলন শহরের সংস্কৃতি, নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে প্রভাব ফেলে। জননিরাপত্তা, ট্রাফিক, নির্মাণ মান এবং পরিবেশগত ঝুঁকি—এসব বিষয় এখন ঢাকার অগ্রাধিকার তালিকার শীর্ষে এসেছে। ভূমিকম্প, দুর্ঘটনা ও অগ্নিকাণ্ড থেকে শিক্ষা নেওয়া জরুরি। নাগরিক নিরাপত্তা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি—এসব ভিত্তি করে আগামী দিনের ঢাকা গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।

এএইচ/এএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর