সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

হারিয়ে যাওয়া কনাই নদীর প্রবাহ ফিরিয়ে আনল ডিএনসিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৪১ পিএম

শেয়ার করুন:

d

ঢাকা গেজেটিয়ার ও ১৯৬০ সালের ঢাকা ম্যাপে রাজধানীর ভেতরে কনাই, নড়াই, দেবদোলাই ও জিরানি নদীর অস্তিত্বের উল্লেখ থাকলেও সময়ের পরিক্রমায় এসব নদী বিলুপ্ত হয়ে যায়। সেই হারিয়ে যাওয়া নদীগুলোর একটি কনাই নদীতে আবারও প্রবাহ ফিরিয়ে এনেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে এই উদ্যোগকে উদযাপন করতে উত্তরা এলাকায় ডিএনসিসির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ‘হারিয়ে যাওয়া কনাই নদী উদ্ধার উদযাপন অনুষ্ঠান’। 


বিজ্ঞাপন


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, পানি উন্নয়ন বোর্ডের বোর্ড সদস্য ও পরিবেশকর্মী আমিনুর রসুল এবং পরিবেশকর্মী মিহির বিশ্বাস।

d1

ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, হারিয়ে যাওয়া কনাই নদী উদ্ধার করে প্রমাণ করা হয়েছে, চাইলেই ঢাকার ভেতরে জলপথ ফিরিয়ে আনা সম্ভব। ভবিষ্যতে নগরের দায়িত্বে যারা থাকবেন, তাদের উচিত হবে এই উদ্যোগকে আরও এগিয়ে নেওয়া। 

তিনি জানান, কনাই নদীকে নৌচলাচল উপযোগী করতে ৯ কিলোমিটার জুড়ে প্রবাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আগে মাঠপর্যায়ের সমীক্ষা করা হয়। পরে উচ্ছেদ ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনা হয়।


বিজ্ঞাপন


এ সময় উত্তরা বাসীর পক্ষে বক্তব্য দেন কাজী মোহাম্মদ ফেরদাউস। তিনি কনাই নদী উদ্ধার কার্যক্রমকে প্রশংসনীয় উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করে ডিএনসিসির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

D2

উত্তরার তরুণ প্রতিনিধি রাসেল বলেন, জুলাই আন্দোলনের পর পরিবেশ রক্ষায় তরুণদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। খিদির খালের আগের অবস্থা দেখে হতাশ হলেও এখন সেখানে নৌকা চলাচল দেখে তারা আনন্দিত।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের বোর্ড সদস্য আমিনুর রসুল বলেন, একসময় দেশে প্রায় ২৪ হাজার কিলোমিটার নৌপথ ছিল, যা বর্তমানে কমে প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটারে দাঁড়িয়েছে। কনাই নদী উদ্ধার হওয়ায় নতুন করে ৯ কিলোমিটার নৌপথ যুক্ত হলো। এখন এটি রক্ষা করার দায়িত্ব এলাকাবাসীর। তিনি নদীভাঙন রোধে কংক্রিট বাঁধের পরিবর্তে নদীর তীরে গাছ লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির বলেন, পর্যটনের জন্য মানুষ বিদেশে ফ্লোটিং মার্কেট দেখতে যায়। অথচ ঢাকার চারপাশের নদীগুলো পরিকল্পিতভাবে উদ্ধার ও সংরক্ষণ করা গেলে এর চেয়েও আকর্ষণীয় পর্যটন এলাকা গড়ে তোলা সম্ভব।

D4

ডিএনসিসির উদ্যোগে আব্দুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ থেকে বাউনিয়া খাল পর্যন্ত ৩ দশমিক ১৮ কিলোমিটার নদী খননের মাধ্যমে মোট ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ নদীপথ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়দের কাছে নদীটি খিদির খাল নামে পরিচিত। উদ্ধার হওয়া কনাই নদী আব্দুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ থেকে গড়ান চটবাড়ি হয়ে দ্বিগুণ খাল অতিক্রম করে তুরাগ নদীতে মিলিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এবিএম শামসুল আলমসহ সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এএইচ/এএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর