আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোয়নপত্র সংগ্রহ ও জমার শেষ সময় দেওয়া হয়েছে আগামীকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে একজন প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে হবে। মনোনয়নপত্র জমার সময় প্রার্থী বা তার প্রস্তাবক, সমর্থকসহ পাঁচ জনের বেশি উপস্থিতি থাকতে মানা রয়েছে; এসময় কোনো ধরনের মিছিল, শোডাউন করলে আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে।
জানা যায়, রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমার সময় প্রার্থীর স্বাক্ষরসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। প্রার্থী, প্রস্তাবকারী বা সমর্থনকারী মনোনয়ন ফরম দাখিল করলে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুচ্ছেদ ১২ এর (৩) অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসার তা গ্রহণ করবেন।
বিজ্ঞাপন
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদান, জামানত জমা, প্রস্তাবকারী-সমর্থনকারীর যোগ্যতা, রাজনৈতিক দলের প্রার্থী মনোনয়ন, মনোনয়নপত্র বাছাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহার এবং বৈধ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশসহ বিভিন্ন বিষয়ে পরিপত্র জারি করেছে ইসি।
দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিলে যা যা লাগবে
দলীয় প্রার্থীর ক্ষেত্রে দলের সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বা সমপর্যায়ের পদাধিকারীর স্বাক্ষরিত দলীয় মনোনয়নপত্র সংযুক্ত করতে হবে।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আসনের মোট ভোটারের অন্তত ১ শতাংশের সমর্থনযুক্ত স্বাক্ষর তালিকা নির্ধারিত ছকে জমা দিতে হবে (আগে সংসদ সদস্য নির্বাচিত না হলে)।
বিজ্ঞাপন
মনোনয়নপত্র সংগ্রহকারী পূর্বে জাতীয় সংসদের কোনো নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে থাকলে তার পক্ষে কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। জামানত বাবদ ৫০ হাজার টাকা ব্যাংক ড্রাফট/পে-অর্ডার বা ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে জমা দেওয়ার প্রমাণপত্র সংযুক্ত করতে হবে।
নির্বাচনি ব্যয়ের সম্ভাব্য উৎস, সম্পদ ও দায় এবং বার্ষিক আয়-ব্যয়ের বিবরণী (ফরম: ২০ ও ২১) এবং হলফনামা ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে দাখিল করতে হবে। মনোনয়নপত্র পূরণ করে প্রার্থী, ওই আসনের প্রস্তাবকারী এবং সমর্থনকারীর স্বাক্ষর থাকতে হবে। মনোনয়নপত্রের ৩ সেট জমা দিতে হবে— এক সেট মূলকপি এবং দুই সেট এ-ফোর সাইজ ফটোকপি। সর্বশেষ আয়কর রিটার্নের কপি, আয়কর পরিশোধের প্রমাণপত্র এবং সম্পদের বিবরণীর (আইটি–১০বি) সত্যায়িত কপি দিতে হবে।
৩ কপি সদ্য তোলা সত্যায়িত পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি জমা দিতে হবে। প্রার্থী, প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং ভোটার তালিকার সংশ্লিষ্ট পৃষ্ঠার কপি সংযুক্ত করতে হবে। সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের সত্যায়িত কপি মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দিতে হবে। নির্বাচনি এজেন্ট নিয়োগ করলে তার নামে অথবা এজেন্ট না থাকলে প্রার্থীর নামে নির্দিষ্ট ব্যাংক হিসাব খুলে সেখান থেকে সব নির্বাচনি ব্যয় পরিচালনা করতে হবে।
মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় প্রার্থীসহ পাঁচজনের বেশি ব্যক্তি উপস্থিত থাকতে পারবেন না।
সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ৫ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি। আপিল নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২০ জানুয়ারি। রিটার্নিং কর্মকর্তা চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে প্রতীক বরাদ্দ করবেন ২১ জানুয়ারি। নির্বাচনি প্রচারণা শুরু হবে ২২ জানুয়ারি। প্রচার চালানো যাবে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। আর ভোট গ্রহণ করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি।
এমএইচএইচ/এফএ

