ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করার ১০ ঘণ্টা পর ঘাতক ফয়সাল করিম মাসুদকে শনাক্ত করে পুলিশ। এরপর তার পাসপোর্টটি ব্লক করে দেওয়া হয়। সে যেন দেশের কোনো ইমিগ্রেশন দিয়ে পালিয়ে যেতে না পারে সে জন্য সকল ইমিগ্রেশনে সতর্কতা জারি করা হয়।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এসএন নজরুল ইসলাম এমন কথা জানান।
বিজ্ঞাপন
এ সময় তিনি বলেন, আমরা গুলি করা ঘটনাস্থল ও এর আশপাশের অনেক এলাকার বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ ও নানা রকম তথ্য জোগাড় করে তা শনাক্তের চেষ্টা করেছি। ঘাতকদের সঙ্গে কোনো মোবাইল ফোন কিংবা ডিজিটাল ডিভাইস ছিল না। তারা মোটরসাইকেলটি নাম্বার টেম্পারিং করে নিয়ে এসেছে। একেবারে ক্লুলেস একটা ঘটনায় আমাদের ঘাতকদের শনাক্ত করতে রাত সাড়ে ১১টা বেজে যায়। আমরা রাত সাড়ে ১১টার পর তার পাসপোর্ট পেয়েছি। যা ব্লক করে দেওয়া হয়। এরপর ইমিগ্রেশনগুলোতে দ্রুত মেসেজ পাঠিয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, ওসমান হাদির ঘাতক হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে। সীমান্ত অতিক্রম করার সময়, প্রথমে তাদের পুত্তি নামে একজন ব্যক্তি গ্রহণ করে। পরে, সামি নামে একজন ট্যাক্সি চালক তাদের মেঘালয়ের তুরা শহরে নিয়ে যায়। পলাতক আসামিদের সহায়তাকারী দুই সহযোগী পুত্তি ও সামিকে মেঘালয় পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, বাংলাদেশ সরকার শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের ফিরিয়ে আনার জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। আমরা আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক উভয় মাধ্যমেই ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখছি। যাতে তাদের গ্রেফতার করে সহজে দেশে ফিরিয়ে আনা যায়।
বিজ্ঞাপন
একেএস/এফএ

