জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ঐতিহাসিক ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অনুমোদনের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানিয়েছে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এই অধ্যাদেশের অনুমোদনের পর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংগঠনটি এ প্রতিক্রিয়া জানায়।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সংগঠনটির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তামাক ব্যবহার ক্যান্সারসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের অন্যতম প্রধান কারণ। তামাকজনিত রোগে বাংলাদেশে প্রতিবছর এক লাখ ত্রিশ হাজারেরও বেশি মানুষের অকাল মৃত্যু ঘটে। এই প্রেক্ষাপটে বিদ্যমান আইনকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নতুন সংশোধিত অধ্যাদেশে ই-সিগারেট ও হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টস (HTP) সহ বিভিন্ন ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি নিকোটিন পাউচকে তামাকজাত দ্রব্যের সংজ্ঞার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এ ছাড়া পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে সকল প্রকার তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ, তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধকরণ এবং প্যাকেটে ৭৫ শতাংশ সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী সংযোজনের মতো উদ্যোগকে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিফলন হিসেবে উল্লেখ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন বিশ্বাস করে, এই সংশোধিত অধ্যাদেশ দ্রুত গেজেট জারি করে কার্যকর বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের নাগরিকদের তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সুরক্ষায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নিশ্চিত হবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম উপকৃত হবে।
এমআইকে/এফএ

