মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

দেশে প্রতিবছর পানিতে ডুবে মারা যাচ্ছে ১৮ হাজার শিশু

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৩ পিএম

শেয়ার করুন:

দেশে প্রতিবছর পানিতে ডুবে মারা যাচ্ছে ১৮ হাজার শিশু

দেশে প্রতিবছর ১৮ হাজার শিশু পানিতে ডুবে মারা যাচ্ছে, তবুও সচেতনতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ। তিনি বলেন, ‌‘ডেঙ্গুতে কী ১৮ হাজার মারা যায়? ডেঙ্গুর খবর প্রতিদিন সংবাদ পত্রে আসে। অথচ, সচেতন হলেই শিশুমৃত্যু রোধ করতে পারতাম, সেটা করি না।’

মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর লেকশোর হোটেলে এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (এডুকো) আয়োজিত শিশুদের অধিকার সংক্রান্ত বাস্তবায়িত প্রকল্পের লার্নিং শেয়ারিং অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


মমতাজ আহমেদ বলেন, ‘শিশুদেরকে যা শেখানো হবে, তাই তারা করবে। বর্তমানে শিশুরা মোবাইল আসক্ত। তাদেরকে কীভাবে ভালো পথে পরিচালনা করা যায়, সেটি চিন্তা করতে হবে। শিশুদের ভালো কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়ের অধীনে বড় দুটি প্রকল্প রয়েছে— তথ্য আপা এবং কিশোর-কিশোরী ক্লাব। এরমানে নানা ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। সারাদেশে বাল্যবিবাহ রোধ এবং কিশোর-কিশোরীদের প্রতিভা বিকাশে কাজ করে যাচ্ছে। কিশোর-কিশোরীদেরকে প্রশিক্ষিত করে তুলতে পারলে তারা দেশের সম্পদ হবে।’

অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনুষ্ঠানের নাম দেওয়া হয়েছে লার্নিং শেয়ারিং। এটা আমি বিদেশিদের মুখেই শুনি। শেয়ারিং ইজ কেয়ারিং, হেয়ারিং ইজ শেয়ারিং। আপনি যদি শেয়ার না করেন, নিজের মধ্যে রাখেন তাহলে কোনো কাজ হলো না।’

অনুষ্ঠানে আসা শিক্ষার্থী তানিয়া আক্তার এডুকোর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি আগে অনুষ্ঠানে কথা বলতে পারতাম না, এখন সেটি পারি। নিয়মিত সভা-সেমিনারে যাওয়ায় এখন আমি কথা বলতে পারি। আগের মতো আর ভয় লাগে না, স্বাচ্ছন্দ্যে কথা বলতে পারি।’


বিজ্ঞাপন


ঠাকুরগাঁও থেকে আসা শিক্ষার্থী ফুটবলার ও শিক্ষার্থী প্রতিমা রাণী রায় নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন। তারা বলেন, এডুকো আমাদেরকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে। সেইসঙ্গে স্কুলে খাবারও দিয়েছে। যার ফলে আমাদের স্কুলে থাকার সময়টা আরামদায়ক হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, একটি প্রকল্পকে প্রকল্প হিসেবে ধরলেই হবে না। এটি একটি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। এইসব সচেতনতামূলক কার্যক্রম দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। শিশু ও কিশোরদের নিরাপদ ভবিষ্যৎ তৈরিতে সহায়তা করছে। এই দেশ সবার জন্য নিরাপদ হোক।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি এডুকো বাংলাদেশ বিভিন্ন জেলায় তিন বছরব্যাপী (২০২৩-২০২৫) শিশু অধিকার তথ্য; শিশুর শিক্ষা, সুরক্ষা ও অংশগ্রহণ সংক্রান্ত তিনটি প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন এবং মূল্যায়ন শেষ করতে যাচ্ছে এবং এই প্রোগ্রামসমূহ বাস্তবায়ন ও মূল্যায়ন থেকে প্রাপ্ত লার্নিং সকল স্টেকহোল্ডারদের সাথে শেয়ারিং করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। প্রকল্পগুলোর মূল লক্ষ্য হলো শিশুদের অধিকার প্রাপ্তিতে সহায়তা করা।

এসএইচ/এফএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর