মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে কি সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে?

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৩২ এএম

শেয়ার করুন:

jahangir
লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রায় দেড় বছরের যাত্রায় সবচেয়ে আলোচিত বিষয় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। সম্প্রতি নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। এই অবস্থায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে সরিয়ে দেওয়ার জোর আলোচনা চলছে। এখানে আসতে পারে নতুন মুখ। নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের উচ্চ পর্যায়েও বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হতে পারে বলে উচ্চ পর্যায়ের বিভিন্ন সূত্রে আভাস পাওয়া গেছে।


বিজ্ঞাপন


সম্প্রতি জুলাই যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদিকে হত্যার পর এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল ব্যক্তিদের ধরতে না পারার ব্যর্থতার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে জোরালো হচ্ছে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সরিয়ে বর্তমান নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমানকে নতুন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার জোর আলোচনা চলছে।

তবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী উপদেষ্টা পরিষদ থেকে বাদ পড়ছেন না। তিনি কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন।

এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখশ চৌধুরীকেও তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে বলে আলোচনা রয়েছে।

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের তিন দিন পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। প্রথমে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দায়িত্ব পান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন। তবে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন প্রশ্নে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে কিছুদিনের মধ্যেই তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পরে এই দায়িত্ব পান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন

পদত্যাগ করলে এখানে বসতাম না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

যেকোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে হবে

তাকে নিয়ে বড় ধরনের বিতর্ক না থাকলেও সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকরা সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার বিষয়ে একটি প্রশ্ন করলে তিনি আলু-পেঁয়াজের দাম নিয়ে কথা বলেন। বিষয়টি নিয়ে অনেকে হাস্যরস করেন। তবে উপদেষ্টা ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, সেই অনুষ্ঠানটি ছিল কৃষি বিষয়ে। তিনি কৃষি উপদেষ্টা হিসেবে উত্তর দিয়েছেন। সেখানে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে কিছু বলবেন না বলে জানিয়েছিলেন। এই ইস্যুতে ইনকিলাব মঞ্চসহ অনেকেই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দাবি জানান। তার পদত্যাগ দাবিতে আলটিমেটামও দেওয়া হয়। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা উপদেষ্টার পদটি বরাবরই খুবই স্পর্শকাতর জায়গা। আওয়ামী লীগের টানা চার মেয়াদের বেশির ভাগ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি কথা কম বলতেন এবং খুব সতর্কতার সঙ্গে বেফাঁস মন্তব্য থেকে বিরত থাকতেন। তবে এরপরও নানা সময় তাকে নিয়ে বিতর্ক হয়েছে।

জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর