সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

স্মার্ট বৈশ্বিক কমিউনিটি গঠনে প্যানেল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:০৫ পিএম

শেয়ার করুন:

স্মার্ট বৈশ্বিক কমিউনিটি গঠনে প্যানেল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সম্প্রতি দেশের প্রযুক্তি খাতের নেতৃবৃন্দ, সৃজনশীল পেশাজীবী ও উদ্যোক্তাদের নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা (আইএসডি)-তে একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আলোচকেরা এ সময় দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে পেশাগত জীবন গঠন এবং শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক সুযোগের জন্য প্রস্তুত করার বিষয়ে মতামত বিনিময় করেন।


বিজ্ঞাপন


রোববার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আইএসডির পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয়।

আইএসডি আয়োজিত ‘ভয়েস অব চেঞ্জ’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে পাঁচজন বিশিষ্ট বক্তার মধ্যে তিনজন ছিলেন আইএসডির প্রাক্তন শিক্ষার্থী। আলোচনায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন টরন্টোভিত্তিক ডোরড্যাশের ইঞ্জিনিয়ারিং লিডার ও আইএসডির প্রাক্তন শিক্ষার্থী শেহজাদ নূর তাউস, সদ্য নির্বাচিত মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ও মেকআপ আর্টিস্ট অনিকা আলম, প্রিভে স্যালন চেইনের উদ্যোক্তা ও মালিক নাহিলা হেদায়েত, ব্যবসায়ী ও ফিটনেস অ্যাডভোকেট এবং আইএসডির প্রাক্তন শিক্ষার্থী রাওয়ান চৌধুরী এবং অর্থনীতিবিদ, উদ্যোক্তা ও মেকআপ আর্টিস্ট সালসাবিনা স্বর্ণা।

অনুষ্ঠানে আলোচকদের বহুমুখী অভিজ্ঞতা আইএসডির শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও বৃহত্তর কমিউনিটির প্রতিনিধিদের সামনে শৃঙ্খলা, সৃজনশীলতা, ডিজিটাল দক্ষতা ও ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা কীভাবে বিষয়ভিত্তিক ক্যারিয়ার গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে, সে বিষয়ে বাস্তবসম্মত ধারণা তুলে ধরে।

নিজের পথচলা সম্পর্কে বলতে গিয়ে আইএসডি ও ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং ফোর্বসের ‘থার্টি আন্ডার থার্টি’ তালিকায় স্থান পাওয়া শেহজাদ নূর তাউস বলেন, “দশ বছর বয়সে কোডিং শেখা আমাকে অন্যদের থেকে এগিয়ে থাকার সুযোগ দিয়েছে এবং এই দক্ষতা বছরের পর বছর ধরে আরও সমৃদ্ধ হয়েছে। আপনি যখন সময়ের আগেই শুরু করেন, তখন সেটি আপনার পরিচয়ের একটি অংশ হয়ে যায়। আর আপনার কাছের মানুষেরা সে যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”


বিজ্ঞাপন


আইএসডির আরেক প্রাক্তন শিক্ষার্থী অনিকা আলম তাঁর সৃজনশীল ক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, “ইনস্টাগ্রামে কেবল মজা করার বিষয় হিসেবে যা শুরু হয়েছিল, ধীরে ধীরে তা এমন একটি জায়গায় পৌঁছায়, যেখানে মানুষ আমার কাজ দেখা শুরু করে। আমি এমন সব সৃজনশীল জায়গা থেকে আমন্ত্রণ পাই, যেখানে যাওয়ার কথা আমি কখনও ভাবতেও পারিনি। বর্তমান সময়ে সৃজনশীল ও পেশাগত পরিচিতির জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব উপস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

প্যানেল আলোচনায় আধুনিক কর্মজীবনের ব্যবহারিক দিক এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের অসুবিধার বিপরীতে এটিকে একটি কার্যকর টুল হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ নিয়ে আলোচনা করা হয়। পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য ফিটনেসের ভূমিকা এবং আরও উন্নত ও ব্যক্তিবিশেষায়িত কাজের জন্য একটি নির্দিষ্ট ও উপযুক্ত ক্ষেত্র গড়ে তোলার গুরুত্বের প্রতিও আলোকপাত করা হয়।

আলোচনায় শ্রোতারাও সক্রিয়ভাবে অংশ নেন। বিশেষ করে আইএসডির প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সরাসরি অভিজ্ঞতা শোনার সুযোগ পেয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণকারীরা বক্তাদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হয়ে বিষয়গুলো আরও গভীরভাবে জানার সুযোগ পান।

এমআইকে/এআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর