শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

মোহাম্মদপুরে ফিল্মি স্টাইলে যুবককে কুপিয়ে জখম করল কিশোর গ্যাং

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৩৫ পিএম

শেয়ার করুন:

মোহাম্মদপুরে ফিল্মি স্টাইলে যুবককে কুপিয়ে জখম করল কিশোর গ্যাং

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে দিনের আলোয় প্রকাশ্যে ফিল্মি স্টাইলে সাগর (২১) নামে এক যুবককে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্যরা। তবে, এ ঘটনার নেপথ্যে মাদকের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

‎বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে চাঁদ উদ্যান সোনা মিয়া টেক্কি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

‎প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চাঁদ উদ্যান সোনামিয়ার টেককি পাইওনিয়ার রোডে চায়ের দোকানে ৬ থেকে ৭ জন কিশোর গ্যাং চক্রের সদস্য দেশীয় ধারালো অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে এসে সাগরকে কুপিয়ে আহত করে চলে যায়। এরপর গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায় স্থানীয়রা।

‎স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোনামিয়ার টেক্কিতে হেরোইনের স্পটকে কেন্দ্র করে নাঈম ও সোর্স নয়নের ভাই শাওনের সাথে দ্বন্দ্ব চলছিল। আজ প্রকাশ্যে সোর্স নয়নের ভাই হেরোইন ব্যবসায়ী শাওন, শাওনের চাচা রিন্টু, সজীব,নয়ন,রাজীব ও মৃদুলসহ বেশ কয়েকজন তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।

‎আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্রে জানা যায়, চাঁদ উদ্যানের সোনা মিয়ার টেক্কি মাদকের হটস্পট। সোনামিয়ার টেকটিতে সকল ধরনের মাদক বিক্রি করে সোর্স নয়নের ভাই শাওন। শাওনের ভাই পুলিশের সোর্স হওয়ায় তাকে পুলিশ কখনোই গ্রেফতার করে না। গতবছর চাঁদ উদ্যানে পাতা আলামিন হত্যাকাণ্ডে অস্ত্র সাপ্লাই দিয়েছিল শাওন। কিশোর গ‍্যাং, মাদকের স্পট দখল করতে হামলা এমন কোনো অপরাধ নেই যা শাওন করে না। বারবার সে অপরাধ করে তার ভাইয়ের কারণে বেঁচে যায়। শাওন বাহিনী ধারালো সামুরাই নিয়ে প্রকাশ্যে মহড়া দিলেও তার ভাইয়ের কারণে সে বারবার বেঁচে যায়। এছাড়াও, সোর্স নয়ন র‍্যাব পুলিশ ও ডিবির সোর্সের কাজ করে। কখনো তার ভাইকে ধরার চিন্তা করলে সে আগেই তার ভাইকে সরিয়ে দেয়। সোর্স নয়ন রায়ের বাজার, চাঁদ উদ্যান, সোনামিয়ার টেক্কি ও জেনেভা ক্যাম্পের পার মনুর ৪ নম্বর সেক্টরসহ বিভিন্ন মাদক স্পট থেকে মোটা অংকের মাসোয়ারা নেয়। আহত সাগর মাদক কারবারি নাঈমের লোক। আহত সাগরের বিরুদ্ধে ডাকাতি প্রস্তুতি ও মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে।

‎গুরুতর আহত সাগরের বাবা মনামিয়া জানান, দুপুরের দিকে আমার ছেলেকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করেছে মাদক কারবারীরা। আমার ছেলে একটি কোম্পানিতে সেলসম্যানের চাকরি। আমি হাসপাতাল এসেছি এখন পর্যন্ত সে বিষয়টি জানতে পারিনি। আমার ছেলের শরীরের মাথায় হাতে পিঠে একাধিক কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কা জনক বলে জানিয়েছে চিকিৎসক।

‎এ বিষয়ে তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার(এসি) আব্দুল্লাহ মামুন জানান, চাঁদ উদ্যানের এই ঘটনা ইতোমধ্যে আমাদের অভিযান শুরু হয়েছে। এই ঘটনায় আমরা একজনকে আটক করতে পেরেছি। বাকিদেরও গ্রেফতারে আমাদের অভিযান চলছে। এই ঘটনায় যাদের নাম এসেছে এবং সিসি ফুটেজে যাদের দেখা যায় তাদের সকলকেই আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।

‎একেএস/

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর