রাজধানীর ঝিগাতলা পুরাতন কাঁচা বাজারের পাশে একটি ছাত্রী হোস্টেল থেকে এনসিপি নেত্রী জান্নাত আক্তার রুমীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এ ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়েও পুলিশের সহায়তা না পাওয়া। এমন দাবি জুলাই রেভ্যুলেশনারী অ্যালায়েন্সের।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে ঝিগাতলা পুরাতন কাঁচাবাজার জান্নাতী ছাত্রী হোস্টেল থেকে রুমীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জুলাই রেভ্যুলেশনারী অ্যালায়েন্সের দাবি, গত নভেম্বরে শেখ হাসিনার ফাঁসির রায় ঘোষণার দিন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে এক নারী আওয়ামী লীগ দাবি করে কথা বলে। ওই ঘটনায় জান্নাত আক্তার রুমী সেই নারীকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে প্রতিনিয়ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ মোবাইল ফোনে সাইবার বুলিং, ধর্ষণ ও হুমকির শিকার হচ্ছিলেন।
তাদের দাবি, সর্বশেষ গত এক মাস যাবৎ এ ঘটনা নিয়ে তার সহপাঠীরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছে রুমীর পাশে থাকার। কিন্তু সাইবার বুলিং আর ফোন কলে সারাদিন থ্রেট পাওয়ার পরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো সাহায্য পাওয়া যায়নি। তবে কারোর কল্পনাতেও ছিলো না, বুলিংয়ের মাত্রা এত তীব্র যে সে আত্মহননের পথ বেছে নেবে।
নিহতের খালাতো ভাই সোয়েইব হোসেন জানান, জান্নাত আরা রুমী ঢাকায় ওই ছাত্রী হোস্টেলে একাই থাকতেন। তার একটি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তান আছে। তারা দুজনই নওগাঁয়ের গ্রামের বাড়িতে বসবাস করে। রুমী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্স হিসেবে চাকরি করত। ২০২৪ সালের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। পরে এনসিপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়।
এদিকে হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে ঝিগাতলা পুরান কাঁচা বাজারের পাশে একটি ছাত্রী হোস্টেল থেকে রুমীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যাকাণ্ড, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
হাজারীবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান বলেন, সকালে হোস্টেলের কাজের বুয়া রুমের দরজায় ধাক্কা দিলে দরজা খুলে যায়। ভেতরে ঢুকে তাকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখা যায়। পরে হোস্টেল কর্তৃপক্ষ থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।
একেএস/ক.ম

