ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন ‘গণভবন’কে জুলাই স্মৃতি জাদুঘর করার সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর জাদুঘর নির্মাণে একটি কমিটিও গঠন করা হয়। এখনো জাদুঘরের নির্মাণ কাজ চলছে। এরইমধ্যে সরকার জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর পর্ষদ গঠন করেছে। এতে সভাপতি করা হয়েছে- একুশে পদক প্রাপ্ত বিশিষ্ট আলোকচিত্র শিল্পী নাসির আলী মামুন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর ৮(১) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) এই পর্ষদ গঠন করা হয়েছে বলে আজ জানানো হয়েছে।

পর্ষদে আরও আছেন- কমিটির সদস্য হিসেবে থাকছেন আর্কাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক, যুগ্মসচিব (প্রত্নতত্ত্ব ও জাদুঘর) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি অর্থ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নাবিলা ইদ্রিস, মানবাধিকার কর্মী মোশফিকুর রহমান জোহান, দৃক পিকচার লাইব্রেরির কিউরেটর এ এস এম রেজাউর রহমান, শহীদ পরিবারের সদস্য সাবরিনা আফরোজ সেবয়ী, জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী মালিহা নামলাহ, গুমের শিকার ব্যক্তি মীর আহমাদ বিন কাসেম আরমান, গুমের শিকার পরিবারের সদস্য সানজিদা ইসলাম তুলি, গুমের শিকার ব্যক্তি ক্যাপ্টেন (অব.) ড. খান সুবায়েল বিন রফিক। সদস্য সচিব হিসেবে থাকবেন জুলাই স্মৃতি জাদুঘরের মহাপরিচালক।
বিজ্ঞাপন

এতে বলা হয়েছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর ধারা ৮(১) এর (ক), (চ), (ছ), (জ), (ক) এবং (এস) অনুসারে মনোনীত পর্ষদ সদস্যরা তাদের মনোনয়নের তারিখ হতে পরবর্তী ৩ বছর মেয়াদে স্বীয় পদে অধিষ্ঠিত থাকবেন।অনধিক এক মেয়াদের জন্য পুনঃমনোনয়নের যোগ্য হইবেন।
বিইউ/এআর

