শহরের পথ-ঘাট পিচ ঢালা। সে পথে সাই সাই করে চলে গাড়ি। নগরবাসীর চলাচলের মাধ্যম বাস, মোটরসাইকেল, লেগুনা, মিনিবাস ও ব্যক্তিগত যান। তবে শহুরে জীবনে চলাচলের মাধ্যম যখন নৌকা, তখন অবাক তো হতেই হয়।
রাজধানীর করাইল বস্তির আদর্শ নগর এলাকা। গুলশান এলাকা থেকে যাতায়াতের পথ মহাখালীর ওয়ারলেস দিয়ে। তবে সে পথ দীর্ঘ। গুলশান-১ ও ২ নম্বরে যারা জীবিকার প্রয়োজনে কর্মরত, তাদের জন্য আদর্শ নগর পৌঁছানোর পথটা ছোট করে নৌকা।
বিজ্ঞাপন
গুলশান-১ নম্বর ও ওয়ারলেসের মাঝামাঝি জায়গায় রয়েছে একটি জলাধার। করাইল বস্তির কোলঘেঁষা জলাধারে স্থানীয়দের প্রয়োজন নৌকার পথ তৈরি করে। সেখানকার পরিবেশ যেন গ্রামীণ পরশ বুলিয়ে যায়।

জলাধারের দুই পাড় সবুজ, শ্যামল। জলাধারের পানিতে সবুজের আভা। তার উপর দিয়ে চলছে যাত্রীবাহী নৌকা। মাঝির বৈঠা যখন জলাধারের জলে আঘাত করে, আন্দোলিত হয় জলরাশি। নয়নাভিরাম সে দৃশ্য যেন গ্রাম বাংলার কথা মনে করিয়ে দেয়।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, গুলশান অংশে একটি নৌকার ঘাট। সেখান থেকে ১০ টাকার বিনিময়ে প্রতিজন যাত্রীকে পারাপার করা হয়। গুলশান থেকে নৌকা ছেড়ে যায় করাইল বস্তির দুই ঘাটে।
বিজ্ঞাপন
এ রুটের মাঝি মো. সেজান ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘এইখান থেকে আদর্শ নগর যায়। ছোট ঘাটে আর বড় ঘাটে।’
মাঝি জানান, গুলশান হয়ে যারা করাইল যেতে চান, তাদের জন্য সড়ক পথে ওয়ারলেস হয়ে পথটা দুই কিলোমিটার। সময়ও খরচ করতে হয় আঘা ঘণ্টা থেকে পৌনে এক ঘণ্টা। তার বিপরীতে নৌকার পথ বেশ ছোট। সময়ও লাগে প্রায় ১০ মিনিট।
কারই/এইউ

