বিজয় দিবস উপলক্ষে ইব্রাহিম সকালে বের হয়েছিলেন মোহাম্মদপুর এলাকায়। উদ্দেশ্য ছিল জাতীয় পতাকা, বিজয়ের চিহ্ন বহন করে এমন কিছু পণ্য বিক্রি করা। সকাল থেকে মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দুপুর পর্যন্ত পতাকা বিক্রি করছেন তিনি। তার দাবি, গতবারের তুলনায় এবার দ্বিগুণ পতাকা বিক্রি করেছেন।
তার সাথে কথা হচ্ছিল মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায়।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলছিলেন, ‘সকালে বের হয়েছিলাম ১০০ পতাকা নিয়ে। এখন মাত্র কয়েকটা আছে। ভালোই বিক্রি হলো। গতবার যা বিক্রি করেছিলাম তার চাইতে এবার ডাবল (দ্বিগুণ) হবে। এবার পতাকা বিক্রি করে মনটা ভালো। ভালোই লাভ হয়েছে।
তার সাথে আরিফুলও বের হয়েছিলেন। তারা সকাল থেকে মোহাম্মদপুর টাউন হল, জাতীয় সংসদ এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে পতাকা বিক্রি করছেন।
আরিফুল বলেন, ‘এবার ছোট পতাকাগুলা ১৫০ টাকা। মাঝারি ও আকারে বড় পতাকা ২৫০-৩৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছি। লোকজনও নিলো অনেক। এবার লোকজন লালসবুজের চিহ্ন থাকা মাথার ব্যান্ডের তুলনায় পতাকা বেশি নিয়েছে। বেশিরভাগ গাড়িচালক এবার এই জাতীয় পতাকা কিনেছে।’
তাদের দুজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, সকালে লোকজন বেশি ছিল ফলে বিক্রিও বেশি হয়েছে। তবে বিকেলে আরেক দফা তারা পতাকা নিয়ে বের হবেন। তখনো ভালো বিক্রির আশা তাদের।
তার সাথে কথা বলার সময়ই দুই মোটরসাইকেলে আরোহীরা এসে দাঁড়ালেন। তারা দরদাম করে ছোট পতাকা কিনলেন।

কথা হয় মোটরসাইকেল চালক সবুজের সাথে। তিনি বলেন, ‘বিজয় দিবস আজ। এ বিজয় তো আমাদের। এতদিন বিজয় দিবসকে তো একটি রাজনৈতিক দল তাদের পৈতৃক সম্পত্তি বানিয়ে উদযাপন করেছে। ফলে সাধারণ মানুষ তাদের মতো করে বিজয় উৎসব পালন করতে ভয় পেতো। এখন তো আর সেসবের ভয় নাই। এই পতাকা কিনলাম মোটরসাইকেলের সামনে লাগিয়ে আজ সারাদিন দুই বন্ধু ঘুরবো।’
কিছুটা সামনে যেতেই কথা হচ্ছিলো মুদি দোকানি কামালের সাথে। টিনের তৈরি ভ্যান স্টাইলের নিজের ছোট মুদি দোকানের সামনে টেবিল বসিয়ে পতাকা বিক্রি করছেন তিনি।
তিনি জানালেন, ছোট পতাকা তার দোকানে বেশি বিক্রি হচ্ছে। কেন মুদি দোকানের পাশাপাশি হঠাৎ আজ এই ব্যবসা জানতে চাইলে কামাল বলেন, ‘আজ বিজয়ের দিন। এই দিন তো প্রতিদিন আসে না। লোকজন গতবার আইসা পতাকা খুঁজছিল। সে কারণে এবার দোকানে পতাকা বিক্রির জন্য তুলেছি।’
এমআইকে/এমআই

