ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
রাজধানীর পল্টন থানায় মামলাটি করা হয়েছে বলে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিষয়টি জানিয়েছেন থানার ডিউটি অফিসার উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) রকিবুল হাসান।
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান, ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় তার এক আত্মীয় বাদী হয়ে পল্টন থানায় মামলা করেছেন। তবে বাদীর নাম বলতে পারেননি তিনি। মামলাটি তদন্ত করছেন পল্টন থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ইয়াসিন মিয়া।
শরিফ ওসমান হাদি ছিলেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র। তিনি ঢাকার ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে তিনি নিয়মিত গণসংযোগ চালাচ্ছিলেন।
গত শুক্রবার বেলা ২টা ২৪ মিনিটে ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট এলাকায় ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। পেছন থেকে অনুসরণ করে আসা একটি মোটরসাইকেল থেকে এক ব্যক্তি ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করেন।
বিজ্ঞাপন
গুরুতর অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার অবস্থা সংকটাপন্ন। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে।
হাদিকে গুলি করার পর থেকে হামলাকারীদের শনাক্তে পল্টন থানার পাশাপাশি র্যাব, ডিবিসহ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট তদন্ত করছে ও অভিযান চালাচ্ছে। এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখন পর্যন্ত ছয়জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে আছেন গুলির ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক, বর্ডার দিয়ে মানুষ পাচার চক্রের দুই সদস্য এবং অভিযুক্ত ফয়সালের স্ত্রী, শ্যালক ও তার বান্ধবী।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হামলাকারীর মধ্যে একজন সন্দেহভাজন ‘ফয়সাল করিম’ সম্প্রতি নির্বাচনী প্রচারে হাদির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পুলিশের পক্ষ থেকেও তাকে প্রধান সন্দেহভাজন ধরে নাগরিকদের কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে। ফয়সাল করিম নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন।
এমআর

