রাজধানীর আদাবরে ফুটপাত থেকে চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীদের ওপর দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে স্থানীয় চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী চক্র। স্থানীয়দের দাবি, ফুটপাতের দোকান থেকে চাঁদা না দেওয়ায় স্থানীয় কিশোর গ্যাঙ লিডার রানার নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কবির নামের এক ব্যক্তি আদাবর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে আটটার দিকে আদাবর থানার ঢাকা হাউজিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সূত্র জানায়, আদাবরের শীর্ষ সন্ত্রাসী কিশোর গ্যাঙ লিডার সজিব আহমেদ রানার সহযোগীরা এ হামলা চালায়। এর নেপথ্যে আদাবর এলাকার আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী পাপ্পু ওরফে ‘কিলার পাপ্পু’র ইন্ধন রয়েছে। চাঁদা আদায় করতে রানা বাহিনীর সদস্য রাকিব হোসেন বিশাল, শাকিল, আব্দুল আহাদ মুন্না, শরীফ, তামিম, মুন্না, হাফিজ, মিঠু, তারেক, রাসেল খান রোহান, জাহিদ হোসেন জন, কালাম, ফয়সালসহ ২০–২৫ জন সন্ত্রাসী দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে শ্যামলী অ্যালায়েন্স হাসপাতালের সামনে ফুটপাতের দোকানগুলোর ব্যবসায়ীদের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায়। দোকান মালিকরা চাঁদা না দিলে তাঁদের ওপর ধাওয়া চালানো হয়। এক পর্যায়ে পথচারী সোহরাব (৫০) ও ফুটপাতের ব্যবসায়ী মো. কবিরকে (২৮) এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করা হয়।

পরে স্থানীয়রা আহত দুজনকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাঁরা বর্তমানে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন।
অভিযোগে ভুক্তভোগী কবির জানান, তিনি পেশায় ফুটপাতের দোকানি। গত দেড় মাস ধরে আদাবরের রিং রোড শ্যামলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ফুটপাতে চা, পান, সিগারেট বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছিলেন। কয়েকদিন ধরে স্থানীয় কিশোর গ্যাঙের সদস্য শাকিল ও রাকিব হোসেন বিশালসহ কয়েকজন তাঁর কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে তাঁকে ফুটপাতে দোকান করতে দেওয়া হবে না—এমন হুমকিও দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন

অভিযোগে আরও বলা হয়, বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে আটটার দিকে দোকানদারি করার সময় শাকিল, শাকিলের মা ও অজ্ঞাতনামা ১০–১২ জন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁকে মারধর করা হয় এবং দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়।
এ সময় প্রায় ৪০ হাজার টাকার মালামাল ও দোকানের ক্যাশে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা লুট করে নেয় সন্ত্রাসীরা। অভিযুক্তরা আরও হুমকি দেয় যে ফুটপাত থেকে চাঁদা না দিলে যেকোনো সময় তাঁকে হত্যা করা হবে।
আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, “ঘটনার পর ভুক্তভোগীরা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে আমরা কাজ করছি।”
একেএস/এআর

