শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

সংসদ নির্বাচন: কর্মকর্তাদের বদলি-ছুটিতে লাগবে ইসির সম্মতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৩৪ পিএম

শেয়ার করুন:

তিনজন রিটার্নিং কর্মকর্তা থাকবে ইসির নিজস্ব কর্মকর্তা
তিনজন রিটার্নিং কর্মকর্তা থাকবে ইসির

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত  কোনো কর্মকর্তার বদলি বা ছুটি প্রয়োজন হলে লাগবে নির্বাচন কমিশনের সম্মতি। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত চিঠি মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিকে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সম্প্রতি ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের পাঠানো এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে বিষয়টি জানা যায়।


বিজ্ঞাপন


চিঠিতে বলা হয়েছে,আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন পরিচালনার জন্য রিটার্নিং অফিসার এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা প্রয়োজন হবে। নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ তথা সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, আধা-স্বায়ত্ত্বশাসিত অফিস/প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্য হতে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে বেসরকারি অফিস/শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতেও প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করা প্রয়োজন হবে। পাশাপাশি, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে।

এতে আরও বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৬ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৫ অনুযায়ী নির্বাচনের কাজে সহায়তা প্রদান করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য মর্মে বিবেচ্য। নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন, ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ১৩ নম্বর আইন) অনুসারে নির্বাচন সংক্রান্ত কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত হলে তিনি উক্তরূপ নিয়োগের পর নির্বাচনি দায়িত্ব হতে অব্যাহতি না পাওয়া পর্যন্ত তাঁর চাকরির অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে প্রেষণে চাকুরিরত আছেন বলে গণ্য হবেন। তাছাড়া, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৪৪৬ অনুচ্ছেদের বিধান অনুসারে নির্বাচনি সময়সূচি জারি হওয়ার পর হতে ফলাফল ঘোষণার পর ১৫ দিন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের সহিত পূর্বালোচনা ব্যতীত কোন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে অন্যত্র বদলি না করার বিধান রয়েছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, গণভোট ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ তাঁদের উপর অর্পিত দায়িত্ব আইন ও বিধি মোতাবেক নিরপেক্ষভাবে পালনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা প্রদান করবেন। এলক্ষ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনের সহিত পূর্বালোচনা ব্যতীত কোন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে বদলি বা ছুটি প্রদান না করা হয় অথবা নির্বাচনি দায়িত্ব ব্যাহত হতে পারে এমন কোন কাজে নিয়োজিত না করা হয় তার নিশ্চয়তা বিধানের লক্ষ্যে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ তথা সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠান/সংস্থাসমূহকে নির্দেশ প্রদানের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৬ এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৫ ও ৪৪৩ অনুচ্ছেদের আলোকে আপনাকে সবিনয় অনুরোধ করছি।

ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ৩০  ডিসেম্বর থেকে  ৪ জানুয়ারি,  রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের শেষ তারিখ ১১ জানুয়ারি আরও নিষ্পত্তি ১২ জানুয়ারি  থেকে ১৮ জানুয়ারি , প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি,  রিটার্নিং কর্মকর্তা দ্বারা চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ করবেন ২১ জানুয়ারি,  নির্বাচনি প্রচার চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭ টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ১২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার।


বিজ্ঞাপন


এমএইচএইচ/এআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর