রোববার, ৫ মে, ২০২৪, ঢাকা

সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকবে লোডশেডিং

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭ জুলাই ২০২২, ০৫:১১ পিএম

শেয়ার করুন:

সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকবে লোডশেডিং

বর্তমানে বৈশ্বিক জ্বালানি সঙ্কটের কারণে দেশের বিদ্যুৎখাতের যে পরিস্থিতি তা থেকে মুক্তি পেতে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী। একই সঙ্গে উদ্ভূত এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তির আগ পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। 

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সারাদেশের বিদ্যুৎ ও গ্যাস পরিস্থিতি পর্যালোচনাবিষয়ক এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। 


বিজ্ঞাপন


প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন যে অবস্থায় আছি, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্টেইন করতে পারলে আমাদের অবস্থার উন্নতি হবে। কীভাবে হবে? আমাদের এলএনজির ওপর নির্ভরতার কারণে আমরা যে বিপাকে পড়েছি, তখন কতগুলো কোল পাওয়ার প্ল্যান্ট আসবে। আমদানির একটি আসবে, রামপাল আসবে, চট্টগ্রামে এস আলমেরটা আসবে, তিন থেকে চার মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক প্ল্যান্ট আসবে। কম বেশি অন্তত ২ হাজার মেগাওয়াট আমরা পাবো।’

ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যে ম্যানেজমেন্টের কথা বললাম এগুলো যদি বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে ৫ শ মেগাওয়াটের চেয়ে বেশি লোডশেডিং হবে না। আমরা ধরেছি- সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গ্রিডে সাড়ে ১৪ হাজারের মতো বিদ্যুতের ডিমান্ড হতে পারে। এই ডিমান্ড আমরা কতটা কমাতে পারি। আমরা যে পদক্ষেপগুলোর কথা বললাম এর আগে এই ডিমান্ড ছিল।

‘এই পদক্ষেপগুলো যদি আমরা সবাই মিলে নেই তাহলে এটাকে সাড়ে ১২ হাজারে নামিয়ে আনতে পারবো। তাহলে আর লোডশেডিং হবে না। তবে আমি এখন এটা বলতে চাই না যে হবে না। এটার জন্য সকলের সহযোগিতা চাই।’

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘পায়রা থেকে আমরা যে ইভাকুয়েট করবো এটা যায় রামপাল গোপালপুর দিয়ে, খুলনায়। রামপালের প্ল্যান্টটা সিংক্রোনাইজ হতে আরও কিছু কাজ করা লাগবে। ওদের যে সাবস্ট্রেশন এখন এটা বন্ধ। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২১ জুলাইয়ের পরে তারা যদি কাজ শেষ করতে না পারে তাহলে আমরা এটা ব্যবহার করতে শুরু করবো। 


বিজ্ঞাপন


‘তখন কিন্তু এখানে থেকে সাতশ-আটশ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে। বড় পুকুরিয়াতে আমাদের নতুন যে কয়লা উৎপাদন হচ্ছে সেটা আসতে আরো মাস দেড়েক সময় লেগে যাবে। বর্তমানে যেটা আছে সেটাকে দিয়েই ওই পর্যন্ত যেতে হবে। স্টকটা আমরা চেষ্টা করছি যাতে সুষম ব্যবহার হয়। আগষ্ট মাসের মধ্যে খলিতে ফুল অপারেশন শুরু হবে।’

তিনি বলেন, ‘কাপ্তাইয়ে যে প্ল্যান্ট সেটা হাইড্রো পাওয়ার প্ল্যান্ট। এটা পানির ওপর নির্ভরশীল। এটাকে সাধারণত আমরা ব্যবহার করি ব্যালান্সিংয়ের জন্য। কারণ এটা সঙ্গে সঙ্গে আসতে পারে তো। এটাকে মেইন সোর্স ধরা হয় না। এ কারণে এর ব্যবহারটা অন্য কেন্দ্রগুলোর মতো হয় না। এখন পানি বেশি আছে এখন নিশ্চই প্রোডাকশন বেশি হবে।

টিএ/একেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর