সচিবালয়ে কর্মরত নন–ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ২০ শতাংশ সচিবালয় ভাতার দাবিতে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে তাঁর কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটা থেকে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে অর্থ বিভাগে তার কার্যালয়ে উপদেষ্টাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন কর্মচারীরা। এই সংবাদটি লেখার সময়ও (রাত ৮টা) কর্মচারীরা উপদেষ্টাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন।
বিজ্ঞাপন
বিকেল সাড়ে পাঁচটায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলাম জানান, অর্থ উপদেষ্টা দফতরে অবস্থান করছেন এবং আন্দোলনকারীরা স্লোগান দিয়ে ওই এলাকার সামনে অবস্থান নিয়েছেন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে সন্ধ্যায় অর্থ উপদেষ্টা ও অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার বৈঠক করেন। আন্দোলনকারীদের জানানো হয়, আগামী সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি হবে। তবে তাঁরা আজই প্রজ্ঞাপন চেয়ে অবস্থান বজায় রাখেন।
বেলা দুইটার দিকে কর্মচারীরা অর্থ বিভাগের ভবনের চারতলায় অবস্থিত উপদেষ্টার দপ্তরের সামনে গিয়ে স্লোগান শুরু করেন। আগারগাঁওয়ে ভ্যাট দিবসের কর্মসূচি থেকে ফিরে এ অবস্থার মুখোমুখি হন উপদেষ্টা। বেলা আড়াইটার দিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের তিন শতাধিক নন–ক্যাডার কর্মকর্তা-কর্মচারী মিছিল নিয়ে সেখানে অবস্থান নেন।
মন্ত্রণালয়ের চার নম্বর ফ্লোরে জড়ো হওয়া কর্মকর্তারা বলেন, আমাদের জন্য জিও (সরকারি আদেশ) না করে সচিব বা উপদেষ্টা কেউই বের হতে পারবেন না। আমরা জানতে পেরেছি, সচিব সাহেব বের হওয়ার পরিকল্পনা করছেন, কিন্তু আমাদের দাবি আজই না মানলে কোনোভাবেই তাকে বের হতে দেওয়া হবে না। এমনকি পুলিশ প্রটেকশন (সুরক্ষা) নিয়েও তারা বের হতে পারবেন না।
বিজ্ঞাপন
আন্দোলনকারীরা বলেন, উপদেষ্টা, মন্ত্রী ও সচিবেরা রাত পর্যন্ত অফিস করলে তাঁদেরও থেকে যেতে হয়। অন্যান্য দফতরের কর্মচারীরা নানা ভাতা পেলেও সচিবালয়ের কর্মচারীরা তা পাচ্ছেন না। রেশন সুবিধার আশ্বাসও বাস্তবায়ন হয়নি বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
তারা বলছেন, সরকারের ঘোষিত মহার্ঘ ভাতাও কার্যকর হয়নি। নতুন বেতন কমিশন বাস্তবায়ন করবে নির্বাচিত সরকার—এমন অবস্থান আগেও জানিয়েছিলেন অর্থ উপদেষ্টা। এর আগে জুনে সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতেও কর্মচারীরা অর্থ বিভাগের সামনে বিক্ষোভ করেছিলেন।
এআর

