নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার পাচরুখি গ্রামে বাকপ্রতিবন্ধী শিশু সাকিব শিকদার হত্যাকাণ্ডের ২০ মাস পর (১ বছর ৮ মাস) মূল রহস্য উন্মোচনসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামি মো. সিয়ামকে (১৯) গ্রেফতার করেছে পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলা।
সোমবার (৮ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার বান্টিবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
পিবিআই জানায়, ভুক্তভোগী সাকিব শিকদার তার নানার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ২০২৪ সালে ৪ এপ্রিল নিখোঁজ হয়। একদিন পর তার নানার বাড়িতেই শিশু সাকিবের মৃতদেহ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ৬ এপ্রিল শিশুর মা তানিয়া আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে আড়াইহাজার থানায় মামলা করেন। ঘটনাটি নিয়ে থানা পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে না পারায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে ২০২৪ সালের ১৫ অক্টোবরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পিবিআইকে মামলার তদন্ত হস্তান্তর করা হয়।
তদন্তকালে পিবিআইয়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হযরত আলী গত ৪ ডিসেম্বর তথ্য-প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজার থানা এলাকার বান্টিবাজার থেকে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আসামি মো. সিয়ামকে (১৯) গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি সিয়াম ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন। তাকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি সাকিব শিকদারের হত্যার দায় স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
বিজ্ঞাপন
পিবিআইয়ের তদন্ত ও আসামির জবানবন্দি থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৪ এপ্রিল দুপুরে বাকপ্রতিবন্ধী শিশু সাকিব শিকদার ঘুড়ি তৈরির সুতা ও ব্লেড কিনতে যাওয়া নিয়ে সিয়ামের সঙ্গে তার চাচা জাকিরের গোয়ালঘরের পাশের রাস্তার উপর কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আসামি সিয়াম ভিকটিম সাকিবকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিলে সে মাথায় প্রচন্ড আঘাত পায় এবং ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করে।
পিবিআই আরও জানায়, আসামি সিয়াম তার মৃতদেহ তুলে নিয়ে তার চাচার গোয়ালঘরের ভেতরে নীল রঙের পলিথিন কাগজ দিয়ে ঢেকে লুকিয়ে রাখে। এরপর ওই দিন রাত আনুমানিক সাড়ে ৩টায় সিয়াম তার চাচা জাকিরের গোয়ালঘর থেকে শিশু সাকিবের মরদেহ টেনেহিঁচড়ে বের করে গোয়ালঘরের বাইরের কোণায় রেখে দেয়।
একেএস/এএইচ
