আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে নির্বাচনি অপরাধ তদন্তের পাশাপাশি এবার বিচারকার্য সম্পাদন করবে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি। বিভিন্ন অপরাধের বিচারও করবে তারা।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
নির্বাচন কমিশনার বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করে এমন বিধান যুক্ত করা হয়েছে। ৩০০ নির্বাচনি আসনের জন্য ৩০০টি কমিটি হবে। এক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করবেন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা।
২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রথমবার ৩০০ আসনের জন্য ৩০০টি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছিল ইসি। বিভিন্ন অপরাধের কারণে মন্ত্রী-এমপি, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দলের ২৯৬ জন প্রার্থীকে শোকজও করেছিল তারা।
তৎকালীন আরপিও অনুযায়ী, নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম হলে অনুসন্ধান কমিটি প্রতিবেদন দিত জেলা নির্বাচন অফিসারকে, তিনি তা পাঠাতেন কমিশন সচিবের কাছে, এরপর কমিশন সিদ্ধান্ত নিত। কিন্তু এবার কমিটিই সরাসরি বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে।
আরও পড়ুন
ভোটে ম্যাজিস্ট্রেসি দায়িত্ব পালনে ৩০০ বিচারক চেয়েছেন সিইসি
ভোটের প্রস্তুতি শেষ, অপেক্ষা তফসিলের
প্রতিটি জেলায় যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং সিনিয়র সহকারী জজদের নিয়ে এই কমিটি গঠিত হয়। গত নির্বাচনে তাদের সুপারিশে কুমিল্লা-৬ আসনের এমপি আকম বাহাউদ্দিন বাহারকে এক লাখ এবং বরগুনা-১ আসনের ধীরেন্দ্রনাথ শম্ভুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে ইসি।
আরপিও ৯১(এ) সংশোধনে এবার বলা হয়েছে, কমিটি ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে, নির্দিষ্ট কিছু অপরাধ আমলে নিতে পারবে এবং প্রয়োজন হলে মামলাটি উপযুক্ত আদালতে পাঠাতে পারবে।
তদন্তে সহায়তার জন্য পুলিশ সুপার/পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট বাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে বাধ্য থাকবে এবং ব্যর্থ হলে তা অদক্ষতা বা অসদাচরণ বলে গণ্য হবে। এছাড়া রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারও কমিটিকে প্রয়োজনীয় সব সহায়তা দেবেন।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল বুধবার ( ১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বা বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) তফসিল ঘোষণা করা হবে। এরপর আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় সপ্তাহের যেকোনো দিন ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন।
এমএইচএইচ/জেবি

