মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

নদীর দূষণ উৎস শনাক্তকরণে কারিগরি সহায়তা দেবে জিটিআই 

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:০৩ পিএম

শেয়ার করুন:

নদীর দূষণ উৎস শনাক্তকরণে কারিগরি সহায়তা দেবে জিটিআই 

ঢাকার নদীগুলোর পানি মান পর্যবেক্ষণের জন্য আধুনিক, বৈজ্ঞানিক ও সমন্বিত ব্যবস্থা গড়ে তুলতে যাচ্ছে সরকার। দক্ষিণ কোরিয়া ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান গ্রিন ট্রানজিশন ইনিশিয়েটিভ (জিটিআই) সরকারকে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে। 

এ উপলক্ষে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে ‘স্ট্রেংথেনিং ওয়াটার কোয়ালিটি মনিটরিং সিস্টেম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।


বিজ্ঞাপন


প্রকল্পের আওতায় কোরিয়ান বিশেষজ্ঞরা জিআইএস ভিত্তিক দূষণ উৎস শনাক্তকরণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এর মাধ্যমে ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর প্রধান দূষণ উৎস ও ঘনত্ব চিহ্নিত করা হবে। পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক নমুনা সংগ্রহ নির্দেশিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে, যাতে নমুনা সংগ্রহের গভীরতা, নির্দিষ্ট মনিটরিং পয়েন্ট এবং সময়সূচি নির্ধারণ করা যায়। এতে পানি মান পরীক্ষার পদ্ধতিতে বৈজ্ঞানিক মানদণ্ড নিশ্চিত হবে।

প্রকল্পের কাঠামো অনুযায়ী জিটিআই  ২০২৬ সহায়তা কার্যক্রমের অধীনে পূর্ণাঙ্গ প্রকল্প প্রস্তাবনা জমা দেওয়া হবে। এ প্রস্তাবনার মাধ্যমে ঢাকার নদীব্যবস্থায় স্বয়ংক্রিয় পানি মান পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা স্থাপন হবে, যা ২০২৭ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া ডিসেম্বরেই প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হবে এবং চলতি ধাপের সব কাজের ওপর বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

pic

বৈঠকে ২০২৬ সালের পরবর্তী দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়। জাতীয় পর্যায়ে স্বয়ংক্রিয় পানি মান পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা, রিভার হেলথ অ্যাসেসমেন্ট প্রটোকল এবং ‘রিভার হেলথ কার্ড’ চালুর সম্ভাবনা নিয়ে মতবিনিময় করা হয়েছে। এছাড়া একটি নদী করিডোরকে পাইলট জোন হিসেবে নির্ধারণের বিষয়েও প্রাথমিক আলোচনা হয়।


বিজ্ঞাপন


বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, যুগ্ম সচিব লুবনা ইয়াসমিন, উপসচিব ফাহমিদা হক খান ও সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক একেএম রফিকুল ইসলাম। কোরিয়ান দলে উপস্থিত ছিলেন কোরিয়া এনভায়রনমেন্টাল ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড টেকনোলজি ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক চো জু হিউন, গবেষণা বিশেষজ্ঞ বাইক ইন হোয়ান, ইএমসি কোং লিমিটেডের পরিচালক জুং কিউন জুন, ডেপুটি ডিরেক্টর জং ওয়ান, ম্যানেজার কিম আইয়ন এবং অন্যান্য অংশীদার সংস্থার প্রতিনিধিরা।

অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ বলেন, নদী তীরবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষায় পানি মান ব্যবস্থাপনা জোরদার করা অত্যন্ত জরুরি। তিনি রিয়েল-টাইম মনিটরিং সেন্সর, ডিজিটাল পানি মান তথ্যব্যবস্থা এবং বিভাগগুলোর মধ্যে তথ্য বিনিময় বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি আরও বলেন, কোরিয়ার সহযোগিতা সরকারকে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও পরিবেশ ব্যবস্থাপনায় নতুন দিগন্ত উন্মোচনে সহায়তা করবে।

এএইচ/এআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর