মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

‘দুর্নীতিবাজদের সীমান্ত দিয়ে পালানোর ব্যবস্থা করেছেন রাজনৈতিক এলিটরা’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:২১ পিএম

শেয়ার করুন:

dudok
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মোমেন।

গত ১৫ বছর যারা দুর্নীতি করেছে, তাদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়ে রাজনৈতিক এলিটরা সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মোমেনের।

তার প্রশ্ন, ‘তারা যদি ক্ষমতায় আসে কেমন হবে?’ তিনি বলেন, ‘তাদের ক্ষমতায় আসার আগে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’


বিজ্ঞাপন


মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা অডিটোরিয়ামে দুদক আয়োজিত আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস-২০২৫ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

দুদক চেয়ারম্যান সতর্ক করেন, ‘যারা দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে, তাদেরকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে দেশ থেকে দুর্নীতি কমবে না।’

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে শেখ হাসিনার সম্পদ বিবরণীতে ঝামেলা ছিল। এতে জমির পরিমাণ ছিল ৫ দশমিক ১ একর। ট্যাক্স ফাইলেও একই পরিমাণ সম্পদ পাওয়া যায়। কিন্তু অনুসন্ধানে পাওয়া যায় ২৯ একর।’


বিজ্ঞাপন


আব্দুল মোমেন বলেন, ‘সেসময় এটা ধরা হলে শেখ হাসিনার নমিনেশন বাতিল হয়ে যেত। নমিনেশন বাতিল হলে তিনি এমপি হতেন না, প্রধানমন্ত্রী হতেন না, তার দল ক্ষমতায় আসত কি না সন্দেহ। তাই আমাদের আগে থেকে সচেতন থাকতে হবে।’

আওয়ামী সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে দুর্নীতির মহামারীর কথা উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘সম্পদ বিবরণীতে অনেক পার্থক্য থাকে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালানোর আগে তার অর্থমন্ত্রী পালালেন, গভর্নর পালালেন। অর্থ ব্যবস্থার সবাই পালালেন। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বির্চারপতি পালালেন। এমনকি বায়তুল মোকাররমের খতিবও পালালেন। এটি দুর্নীতির সবচেয়ে বড় উদাহরণ।’

এসময় দুর্নীতির নানা দিক তুলে ধরে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘একবার টাকা কোথাও চলে গেলে তা ফেরত আনার সম্ভাবনা ও সুযোগ খুব কম থাকে। আবার সেসব দেশের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্কও থাকে না। দুর্নীতির টাকা যেখানে গেছে সেখানে কাজ করার লোক নাই, কাজ করা কষ্ট, সেখানে আমরা ফাস্ট সেক্রেটারি লেভেলের কাউকে পাঠাতে চাই।’

দুর্নীতির বহুমাত্রার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে ক্রিপ্টোকারেন্সি আকারে টাকা পাচার হচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের প্রশিক্ষণ নেই। সেক্ষেত্রে দুদককে শক্তিশালী করতে হবে। এগুলো প্রতিরোধের পথ বের করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ইনিস্টিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের মহাপরিচালক ড. এ কে এনামুল হক।

এএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর