বুধবার, ৮ মে, ২০২৪, ঢাকা

কোরবানি হাটে চাঁদাবাজি বরদাস্ত করা হবে না: র‌্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭ জুলাই ২০২২, ০২:০২ পিএম

শেয়ার করুন:

কোরবানি হাটে চাঁদাবাজি বরদাস্ত করা হবে না: র‌্যাব
ছবি: সংগৃহীত

কোরবানি পশুর হাটে চাঁদাবাজিকে কোনোভাবে বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব)। এছাড়া কেউ চাঁদাবাজি করলেই তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাটি। 

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর গাবতলী গরুর হাট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। 


বিজ্ঞাপন


খন্দকার আল মঈন বলেন, কোরবানির হাটে চাঁদাবাজিকে আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছি। এখানে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি বরদাস্ত করা হবে না। আমাদের গোয়েন্দারা মাঠে আছে। যারা এ ধরনের চাঁদাবাজি করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, এখন অনলাইনে অনেক গরু বেচাকেনা হচ্ছে। আমরা অনলাইনেও সাইবার মনিটরিং করছি। অনলাইনে গরু বিক্রেতারা যেন কোনোভাবেই প্রতারণার শিকার না হয় সে ব্যাপারেও আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। কোরবানির হাটগুলোতে ক্রেতা, গ্রাহক ও বিক্রেতাকে যেকোনো ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে র‌্যাব। 

খন্দকার আল মঈন বলেন, বাস, ট্রেন ও লঞ্চে যাতে কোনো ধরনের টিকিট কালোবাজারি না হয় আমরা সে জন্য নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ট্রেনে যে টিকেট টিকিট কালোবাজারি হয় এটা প্রতিনিয়ত ও একটি ঘটনা ছিল প্রতি ঈদে সকলে দেখেছেন। যে সিস্টেম এনালিস্ট এই কালোবাজারি করতেন তাকে আমরা গ্রেফতার করেছে। কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্য অনেকটা কমেছে। সম্প্রতি কমলাপুর রেলস্টেশনে অভিযান চালিয়ে আমরা কালোবাজারি করে এমন ১০ জনকে গ্রেফতার করেছি। তাদের আইনের হাতে সোপর্দ করেছি। 

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক বলেন, যারা হাটে আসছে তারা জানিয়েছে গরু আনার পথে কোনো চাঁদাবাজি হয়নি। তারপরও আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। পথে যারা গরু নিয়ে আসছে তাদের চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের কোনো সম্ভাবনা থাকলে আমাদেরকে জানাবেন। আমরা অনুরোধ করব তারা যেন আমাদের কন্ট্রোলরুমে বিষয়টি জানান। এই গরু আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে যতটুকু সাপোর্ট প্রয়োজন হয় আমরা দেব। 


বিজ্ঞাপন


হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানিয়ে র‌্যাবের মুখপাত্র বলেন, করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সকলে যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে গরু বেচাকেনা করেন। অনেক সময় দেখা যায় পশু মোটাতাজা করার জন্য ওষুধ ব্যবহার করা হয়। আমাদের ম্যাজিস্ট্রেট আছে। পশু চিকিৎসক আছে। তাদের নিয়ে আমরা বিভিন্ন গরু পর্যবেক্ষণ করবো। কেউ কোনো মোটাতাজাকরণ ওষুধ খাইয়ে গরু মোটাতাজা করছে কিনা। এটা গ্রাহকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

এমআইকে/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর