কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি ভারতের একটি ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওকে রাজধানীর বনানীতে ধর্ষণের ঘটনা বলে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে গুজব ও অপপ্রচার শনাক্ত করেছে ফ্যাক্ট-চেকিং প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্টওয়াচ।
ফ্যাক্টওয়াচ জানায়, সম্প্রতি ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হয়, ঢাকার বনানীতে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেত্রীকে ধর্ষণ করে তিন সন্ত্রাসী রাস্তার পাশের ড্রেনে ফেলে যায়। ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তার পাশে এক তরুণী পড়ে আছে। পাশে রয়েছে তার জুতা আর পানির বোতল। সেখানে তরুণীকে দেখে অসুস্থ বা আহত মনে হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
ফ্যাক্টওয়াচ রিভার্স ইমেজ সার্চ করে ভিডিওটির উৎস খুঁজে পায়। দেখা যায়, ভিডিওটি ভারতের একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে আপলোড করা হয়েছে। চ্যানেলটি মূলত ছোট ছোট কমেডি ভিডিও বানায়। আলোচিত তরুণীকে নিয়ে আরও বহু ভিডিও আছে সেখানে।
ইউটিউবে পাওয়া স্পষ্ট সংস্করণটির ক্যাপশনে কিছু হ্যাশট্যাগ ছিল, যেগুলো দেখে বোঝা যায়, এটি কমেডি ধারার কনটেন্ট। সেখানে ‘ইঙউঙ’ নামে একটি শব্দ পাওয়া যায়, যা ভারতের আসামের একটি আদিবাসী গোষ্ঠীর নাম। ভিডিওর অডিওতেও নানা ধরনের ফানি শব্দ রয়েছে।
এই ভিডিওগুলো আপলোডের তারিখ অনুসন্ধান করে দেখা যায়, রাস্তার পাশে পড়ে থাকা এই ভিডিও আপলোডের পরের দিনও কমেডি ভিডিও আপলোড করা হয়েছে।
ইউটিউব অ্যাকাউন্টের হোম সেকশন দেখায়, চ্যানেলটি ভারত থেকে পরিচালিত হয় এবং এ বছর ২১ মে এটি খোলা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এ ছাড়া প্রাসঙ্গিক কী-ওয়ার্ড দিয়ে দেশের কোনো মূলধারার গণমাধ্যমে বনানীতে এ ধরনের ঘটনার সাম্প্রতিক কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
সব মিলিয়ে ফ্যাক্টওয়াচ বলছে, ভিডিওটি ঢাকার বনানীতে ধর্ষণের শিকার কোনো তরুণীকে নিয়ে নয়; বরং এটি একটি কমেডি ভিডিও। তাই ফেসবুকে ছড়ানো ক্যাপশন ও দাবি ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা।
এসএইচ/এফএ

