আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এবার একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট হওয়ায় ভোটগ্রহণের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থাটি।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে এ কথা জানান নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
বিজ্ঞাপন
সাধারণত সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ করা হয়। কিন্তু দুই ভোট একইদিনে হওয়ায় ভোটগ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়িয়ে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
এ সপ্তাহেই সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানান ইসি সানাউল্লাহ।
ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষণা করেছে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও জুলাই জাতীয় সনদ নিয়ে গণভোট হবে।
ইসি সূত্র জানায়, শুরু থেকে ইসির প্রস্তুতি ছিল শুধু সংসদ নির্বাচনের। সে হিসেবে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে। ইসি আগামী নির্বাচনে ভোট গ্রহণের জন্য ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্র এবং ২ লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৯টি ভোটকক্ষ নির্ধারণ করেছে। কিন্তু এখন সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে একইসঙ্গে গণভোটও হবে। একজন ভোটারকে দুটি করে ভোট দিতে হবে। এতে ভোট দিতে সময় বেশি লাগবে।
বিজ্ঞাপন
এ জন্য ভোটকেন্দ্র বা ভোটকক্ষ বাড়াতে হবে কি না, তা বুঝতে সম্প্রতি রাজধানীর একটি ভোটকেন্দ্রে মক ভোটিংয়ের আয়োজন করেছিল ইসি। ওই মক ভোটের প্রাথমিক তথ্য পর্যালোচনায় ইসি বলেছে, প্রতিটি ভোটকক্ষে একটির জায়গায় দুটি করে গোপন কক্ষ (যেখানে গিয়ে ভোটার ব্যালট পেপারে সিল দেন) স্থাপন করা হলে ভোটকেন্দ্র বাড়াতে হবে না।
মক ভোটিংয়ে দেখা গেছে, ভোটারদের অনেকে গণভোটের ব্যালট পেপার পড়ে ভোট দিয়েছেন। এতে ভোট দিতে সময় বেশি লেগেছে। আবার সব ভোটকেন্দ্রে গোপন কক্ষ বাড়ানোর মতো অবকাঠামোও নেই। অন্যদিকে ভোটকেন্দ্র বাড়াতে গেলেও কিছু সমস্যা আছে। বিশেষ করে গ্রাম এলাকায় অনেক জায়গায় এ রকম অবকাঠামো নেই। সব মিলিয়ে ইসি ভোট গ্রহণের সময় বাড়ানোর পরিকল্পনা করে।
এমআর

