বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) পরিচালনায় সীমাহীন ব্যর্থতা, অদক্ষতা এবং অযোগ্যতার দায় নিয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেমের নেতৃত্বাধীন পুরো কমিশন পদত্যাগ না করলে আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ‘চাকরি প্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীরা’।
আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
বিজ্ঞাপন
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং বিসিএস পরীক্ষার্থী জালাল আহমদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের মাস্টার্সের ছাত্র এম আর এইচ রনি, তিতুমীর কলেজের সাবেক ছাত্র শেখ ফরিদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১ নম্বর সহ সমন্বয়ক সরদার নাদিম মাহমুদ শুভ প্রমুখ ।
লিখিত বক্তব্যে জালাল আহমদ বলেন, গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার আলোকে বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন (পিএসসি) এর তত্ত্বাবধানে সকল ধরনের চাকরিতে নিয়োগ, নিয়োগ পরীক্ষায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নাম্বার সহ ফলাফল প্রকাশ, একইসঙ্গে একাধিক চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা এড়াতে মনিটরিং সেল গঠন সহ ১১ দফা দাবিতে পিএসসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোবাশ্বের স্যারকে স্মারকলিপি দিয়েছিলাম আমরা। কিন্তু তিনি কোনো দাবি বাস্তবায়ন করেননি। গত এপ্রিল মাসে শাহবাগ মোড়ে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছি আমরা। পিএসসি এবং সরকার নাম্বারসহ ফলাফল প্রকাশের আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু তারা সেই আশ্বাস পূরণ করেননি।
পিএসসির চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেমসহ পুরো কমিশনের পদত্যাগ দাবি করে জালাল আহমদ বলেন, সম্প্রতি বিসিএস পরীক্ষার অব্যবস্থাপনা, ভুলেভরা প্রশ্নপত্র এবং অসামঞ্জস্য পরীক্ষার ফলাফল প্রমাণ করে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন পরিচালনায় পিএসসির বর্তমান চেয়ারম্যান মোবাশ্বের নেতৃত্বাধীন কমিশন সম্পূর্ণ ব্যর্থ, অদক্ষ এবং অযোগ্য। তাই সারাদেশের সকল চাকরি প্রার্থীদের পক্ষ থেকে আমরা পিএসসির চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেমসহ পুরো কমিশনের পদত্যাগ দাবি করছি। তারা পদত্যাগ না করলে আন্দোলনের মাধ্যমেই পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে ।
এ সময় তারা তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন-
১) মোবাশ্বের মোনেম কমিশনের পদত্যাগ: বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন পরিচালনায় সীমাহীন ব্যর্থতা, অদক্ষতা এবং অযোগ্যতার কারণে পিএসসির বর্তমান চেয়ারম্যান মোবাশ্বের নেতৃত্বাধীন কমিশনের পদত্যাগ করতে হবে।
২) পিএসসি এর গুণগত সংস্কার: নির্বাচন কমিশন গঠনের মতোই সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে সৎ, যোগ্য এবং দক্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে নতুন কমিশন গঠন করতে হবে।সকল সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পরীক্ষায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নাম্বার সহ ফলাফল প্রকাশ, একইসঙ্গে একাধিক চাকরির নিয়োগ পরীক্ষা এড়াতে মনিটরিং সেল গঠন করে পিএসসি কে শিক্ষার্থীবান্ধব করতে হবে।
৩) চাকরি পদ্ধতির আমুল সংস্কার: চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার আলোকে বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন (পিএসসি) কে পরিচালিত করতে হবে।বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন (পিএসসি) এর তত্ত্বাবধানে সকল ধরনের চাকরিতে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে ।
বিজ্ঞাপন
সকল চাকরি প্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের মতামত নিয়ে অবিলম্বে ‘পিএসসি সংস্কারের রূপরেখা এবং চাকরি পদ্ধতি সংস্কারের রূপরেখা’ ঘোষণা করা হবে বলে জানান তারা।
এমআর/ক.ম

