সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হবে লন্ডনে। এজন্য কাতার সরকারের পক্ষ থেকে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হচ্ছে। কারিগরি ত্রুটির কারণে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকায় পৌঁছাবে বলে জানা গেছে। খালেদা জিয়াকে বহন করতে আসতে যাওয়া এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কি কি সুবিধা থাকবে? এ নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন উঠেছে।
তবে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি একটি অত্যাধুনিক এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। যাতে সকল ধরনের সুবিধা থাকবে। কোনো দেশে ট্রানজিট নেওয়ার সময়ও খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ওপর কোনো ধরনের প্রভাব ফেলবে না।
বিজ্ঞাপন
যা যা থাকবে এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের সুবিধার তালিকায়
আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম
এই বিমানে সব ধরনের জরুরি চিকিৎসা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য সর্বশেষ প্রযুক্তির চিকিৎসা সরঞ্জাম রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ভেন্টিলেটর, ডিফিব্রিলেটর, মনিটর, ইনফিউশন পাম্প এবং অন্যান্য জরুরি ওষুধ।
আইসিইউ সুবিধা
বিশেষ এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে একটি পূর্ণ আইসিইউ সুবিধা রয়েছে। রোগীর কঠিন কোনো পরিস্থিতিতে রোগীকে স্থিতিশীল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সুবিধা থাকে।
বিজ্ঞাপন
চিকিৎসক ও নার্স
এই বিশেষ বিমানে সব সময় অত্যন্ত দক্ষ ডাক্তার এবং নার্স থাকেন, যারা রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা দিতে সক্ষম।
স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ পরিবেশ
রোগীর আরামের জন্য এই বিমানগুলো খুবই স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে রোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য আলাদা আলাদা জায়গা থাকে।
স্বয়ংসম্পূর্ণ বিশেষ
এই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে থাকে। অর্থাৎ দীর্ঘ দূরত্বের বিমানযাত্রার (ফ্লাইটের) ক্ষেত্রেও রোগীর সব ধরনের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।
এয়ারবাস এ-৩১৯ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স
একটি অত্যাধুনিক ও বিশ্বাসযোগ্য বিমান, যা জরুরি পরিস্থিতিতে রোগীদের জন্য সর্বোত্তম চিকিৎসা পরিষেবা দেয়। এর দ্রুতগতি, স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ পরিবেশ এবং সর্বশেষ প্রযুক্তির চিকিৎসা সরঞ্জাম এটিকে অন্যদের থেকে আলাদা করে।
এমআইকে/এমআই

