রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ধারালো অস্ত্র ও চোরাই মালামাল উদ্ধার করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। এ সময় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শেখেরটেক ৭ নম্বর রোডের ৯ নম্বর বাড়ি থেকে এসব মালামাল উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো— শফিকুল ইসলাম ও শরীফ। এরা স্থানীয় কিশোর গ্যাং ও চোর চক্রের সদস্য।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মোহাম্মদপুর বাবর রোড থেকে প্রথমে চোর চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শেখেরটেক ৭ নম্বর রোডের ৯ নম্বর বাড়ির নিচতলা থেকে কিশোর গ্যাংয়ের ব্যবহার্য দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও চুরি করা বিপুল পরিমাণ মালামাল জব্দ করা হয়। চোর চক্রের সদস্যরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চুরি করে এই বাড়িতে সব জমা দিত। এরপর ফ্ল্যাটের মালিক কৌশলে তার দোকানে তা বিক্রি করতেন। এ ছাড়াও, কিশোর গ্যাং সদস্যদের দেশীয় ধারালো অস্ত্রসমূহ এই বাড়ি থেকে সরবরাহ করা হতো।
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ওসমান মাসুম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মোহাম্মদপুর থানার বাবর রোড এলাকা থেকে শফিকুল ইসলাম ও শরিফ নামে দুইজনকে আটক করি। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আদাবর শেখেরটেক ৭ নম্বর রোডের ৯ নম্বর বাসায় অভিযান পরিচালনা করি। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, বিভিন্ন ধরনের ছুরি, শীতের জ্যাকেট, লোফার জুতা, লিফটের মালামাল ও ইলেকট্রনিক্স টেস্টিং ডিভাইস উদ্ধার করা হয়। তারা জানিয়েছে ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে তারা বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই করতো এবং সেসব ছিনতাইয়ের মালামাল এখানে এনে লুকিয়ে রাখতো।
মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মফিজ উদ্দিন বলেন, গতকাল আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন দুইজনকে আটক করি। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শেখেরটেক এলাকায় এসআই আক্কেল আলী, এসআই পবিত্র, এসআই মাসুম, এসআই লিটন মাতবর সহ অভিযান পরিচালনা করি। সেখান থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের দেশি অস্ত্র, চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আটক শফিকুল ইসলাম ও শরিফ জানায় শহিদুল ইসলাম নামে একজনের সঙ্গে তারা কাজ করে। ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে এসব চোরাই মালামাল তারা শহিদুল ইসলামের বাসায় রেখে যায়। তাদের দুজনকে নিয়ে এই সিন্ডিকেটের হোতা শহিদুল ইসলামের বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। কিন্তু কৌশলে শহিদুল ইসলাম পালিয়ে যায়। তাদের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
একেএস/এফএ

