ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) চালু-সংক্রান্ত বিভিন্ন দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা। এর জেরে রাজধানীতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
পরে দুপুর আড়াইটার দিকে বিক্ষোভকারীরা সড়ক থেকে সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিজ্ঞাপন
এর আগে মঙ্গলবার দুপুর থেকে (২ ডিসেম্বর) যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা।
তাদের দাবি, সংস্কারের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত নেওয়াই হবে বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত।
জানা গেছে, বিক্ষোভকারীরা দুপুর দেড়টার দিকে দাবি আদায়ে রাজধানীর কুড়িল এলাকার প্রধান সড়কে অবস্থান নেন কয়েকশ ব্যবসায়ী। তাদের মধ্যে অনেকে সড়কে বসে পড়েন। ফলে যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে বাড্ডা লিংক রোডে তীব্র যানজট ছড়িয়ে পড়ে।
বিজ্ঞাপন
পরে বিক্ষোভকারীরা নগরীর বিভিন্ন সড়কে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন গুলশান, বারিধারা ও উত্তরার যাত্রীরা।
জানা গেছে, দোকানপাট বন্ধ রেখে যমুনা ফিউচার পার্কে থাকা শপিংমলটির ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা যোগ দেন বিক্ষোভে। প্রথম দিকে তারা সড়কের পাশেই অবস্থান নেন। কিন্তু পরে সড়ক দখল করেন বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এর ফলে উত্তরা–রামপুরা এবং বিমানবন্দর–কুড়িল অংশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। গাড়ির জট ক্রমশ দীর্ঘ হতে থাকে।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এনইআইআর কার্যকর করার আগে সরকারের উচিত ছিল বাজারের বড় অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করা। কাঠামোগত সংস্কার, করনীতির পরিষ্কার নির্দেশনা এবং বাজারে যেকোনো ধরনের একচেটিয়া প্রভাব বন্ধে সুনির্দিষ্ট নিশ্চয়তা চাইছেন তারা।
এদিকে বিক্ষোভকারীদের কয়েকজন জানান, সরকার আলোচনার কোনো উদ্যোগ না নিলে দেশের বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা রাজধানীতে জমায়েত হয়ে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন।
বিক্ষোভ চলাকালীনই দুপুর নাগাদ ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ আসে। তারা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। একপর্যায়ে তাদেরকে সড়ক প্রশাসনের পক্ষ থেকে সড়ক খালি করতে বলা হয়। এরপর তারা সড়ক ছেড়ে চলে যান।
এর আগে মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভের কারণে সৃষ্ট যানজটে ভোগান্তিতে পড়েন হাজার হাজার মানুষ। প্রায় ঘণ্টা খানেক আটকা ছিল শত শত গাড়ি। অনেকে জরুরি কাজে বের হয়ে সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতেও পারেননি। বাধ্য হয়ে অনেকে হেঁটেই রওনা হন গন্তব্যে।
গুলশান ট্রাফিকের এডিসি জিয়াউর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, সড়কটিতে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নিয়েছিল। পরে প্রশাসনের লোকজন গেলে তারা তাদের সঙ্গে কথা বলে সরিয়ে দেন। এখন সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর রাজধানীর কারওয়ানবাজারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছিল মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীরা। সেদিনও পুরো নগরীতে যানজট সৃষ্টি হয়ে মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
এমআইকে/এএইচ

