অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে রাজধানীর মহাখালীর কড়াইল বস্তি জুড়ে রয়েছে ক্ষতচিহ্ন। আগুনে পুড়ে গেছে সবকিছু। পরার কাপড়-চোপড়ও বাদ যায়নি। বর্তমানে সাহায্যের অপেক্ষায় আছেন কড়াইল বস্তিবাসী।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বস্তিতে সরেজমিনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বিজ্ঞাপন
বস্তি ঘুরে দেখা যায়, অগ্নিকাণ্ডে বস্তির হাজারো ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, যার ফলে অনেক পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘরের সামনে বসে বাসিন্দারা সব হারিয়ে কান্না করছেন। আর চিন্তা করছেন কীভাবে বিভীষিকাময় এই সময়টা পার করবেন। সেইসঙ্গে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এখন সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করছে।

দীর্ঘ সময় ধরে এই বস্তিতে থাকেন রোজিনা আক্তার, অগ্নিকাণ্ডে সবকিছু হারিয়ে এখন নিঃস্ব হয়ে গেছেন। সেখানে তার একটি দোকান ছিল, অগ্নিকাণ্ডে সেটি পুড়ে গেছে। এখন তিনি পাঁচ বছরের ছেলে ও সাত বছরের কন্যাকে নিয়ে বিপাকে রয়েছেন। চিন্তা করছেন কীভাবে খারাপ সময়টা কাটাবেন।
জানতে চাইলে রোজিনা আক্তার ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমাদের এখন কী হবে কিছুই বলতে পারি না। কী খামু, কী পরুম তা তো জানি না। আমাদের শেষ সম্বলটুকু কেন পুড়ে গেলো।’

কড়াইল বস্তির আরেক বাসিন্দা মিলন হোসেন বলেন, ‘আগুন লাগার পর জীবন নিয়ে বের হয়েছি। পকেটে কোনো টাকা-পয়সাও ছিল না। এখন তিন বছরের ছেলে শীতে এবং ক্ষুধায় কাঁদছে। কিন্তু খাবার কোথায় পাবো। পরিচিত সবার বাসা পুড়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘কড়াইল বস্তির চারপাশে দেশের সবচেয়ে ধনী মানুষের বাস। তারাসহ ঢাকার বিত্তবানদের সহযোগিতা চাই। আগুন থেকে বাঁচলেও শীত ও ক্ষুধা থেকে বাঁচতে পারছি না।’
এসএইচ/এএস

