দেশে রিখটার স্কেলের ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ৩০-৪০ সেকেন্ডের ভূমিকম্প হলে ঢাকা শহরের ৭২ হাজার বিল্ডিং ধসে পড়বে বলে জানিয়েছেন সেইফটি ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মো. সাখাওয়াত হোসেন।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বাংলাদেশে বিল্ডিং নির্মাণ করার জন্য যে, কোড রয়েছে। সেই কোড অনুযায়ী বিল্ডিং নির্মাণ না করা হয়, তাহলে সেটি হবে ঝুঁকিপূর্ণ হবে। ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প ৩০-৪০ সেকেন্ডের হয়, তাহলে ঢাকা শহরের ৭২ হাজার বিল্ডিং ধসে পড়বে। সেটি উদ্ধার করার মতো যন্ত্রপাতি বা সক্ষমতা আমাদের নেই। বাহিরের (বিদেশ) সহায়তা ছাড়া আমরা মোকাবিলা করতে পারবো না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যে, ভবনগুলো রয়েছে, সেগুলো ঝুঁকি নিরুপন করা গুরুত্বপূর্ণ। আমি বা আপনি যে, ভবনে বসবাস করছি, সেটি কতটুকু ঝুঁকি মুক্ত এবং কী কী ঝুঁকি রয়েছে। ভবনটা নিরাপদ করতে হলে কী কী করা প্রয়োজন, সেটি নিয়ে ভাবতে হবে এবং পদক্ষেপ নিতে হবে। সেইসঙ্গে বিল্ডিং কোড মানার কঠোর নির্দেশনা ও পদক্ষেপ নিতে হবে।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভূমিকম্প যখন হয়, ভূমিকম্পের পর আবার ভূমিকম্প হতে পারে। যেটাকে বলা হয় আফটার ইফেক্ট। কত সময়ের মধ্যে হতে পারে আফটার ইফেক্ট, এটা বলা যায় না। ভূমিকম্প হওয়ার ১০ মিনিট, ২০মিনিট, ১ ঘণ্টা বা ২৪ ঘণ্টা পরও হতে পারে।
তিনি বলেন, কোথাও কোথাও এমনও রেকর্ড আছে ভূমিকম্প হওয়ার পর ১০ মিনিট ঝাঁকুনি থাকে। এটা কখন বা কতক্ষণ হবে নির্ধারণ করে বলা যায় না।
বিজ্ঞাপন
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভূমিকম্প হওয়ার পর নিচতলা থেকে তৃতীয় তলা পর্যন্ত এই ফ্লোরে থাকে, তাহলে তাড়াতাড়ি বের হয়ে খালি মাঠ বা ফাঁকা স্থানে যাবেন; সেখানে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা অবস্থান করবেন। যাতে পরবর্তী ঝাঁকুনি আসলে বিপদ মুক্ত থাকা যায়।
তিনি বলেন, এখনও ভূমিকম্পের সরাসরি পূর্বাভাস দেয়ার মতো কোনো প্রযুক্তি সক্ষমতা অর্জন করেনি। ভূমিকম্পের পূর্ব প্রস্তুতি রাখা উচিত। একইসঙ্গে ভূমিকম্পের আগে কী কী করা উচিত। ধরে নিতে হবে, যেকোনো সময় ভূমিকম্প হতে পারে।
এসএইচ/এআর

