রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র রমনার চৌরাস্তা, কার্জন হলের সামনে দাঁড়ানো সাদা রঙের দুই তলা বিশিষ্ট পুরাতন হাইকোর্ট ভবন ঢাকা শহরের বহু ঘটনার সাক্ষী। ১৯০০-এর দশকে ব্রিটিশ প্রশাসনের জন্য নির্মিত এই রাজকীয় আবাসিক ভবনটি পরবর্তীকালে বিচারব্যবস্থার কেন্দ্র হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছে।
একসময় রাজকীয় বাসভবন, পরে শাসনি অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিগ্রহে ব্যবহৃত এই ভবন আজ দেশের বিচারব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্মারক। এর স্থাপত্যশৈলী, ব্যবহারধারা, রাজনৈতিক ইতিহাস এবং সাংস্কৃতিক গুরুত্ব মিলিয়ে এটি ঢাকা শহরের ইতিহাসে এক অনন্য সাক্ষী।
বিজ্ঞাপন
নির্মাণ ও প্রাথমিক উদ্দেশ্য: ভারত বিভাজন ও নতুন প্রদেশের প্রয়োজন
১৯০৫ সালে লর্ড কার্জন কর্তৃক বাংলা বিভাজনের পরিকল্পনার প্রেক্ষিতে পূর্ববঙ্গ ও আসামকে আলাদা একটি প্রশাসনিক ইউনিট হিসেবে গড়ে তোলা হয়- ‘ইস্ট বেঙ্গল অ্যান্ড আসাম’ নামে। নতুন প্রদেশের প্রশাসনিক কার্যক্রমের জন্য ঢাকাকে প্রমুখ কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হলে সেখানে উচ্চপদস্থ অফিসমাল ও বাসভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
এই প্রেক্ষিতে রমনা গ্রিনের দক্ষিণপ্রান্তে একটি বড় আয়তক্ষেত্র জায়গা চিহ্নিত করে তাতে বিভাগীয় গভর্নরের বাসভবনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ভবনটি মূলত গভর্নরের সরকারি বাসভবন হিসেবে নির্মাণাধীন ছিল, নির্মাণকাল আনুমানিক ১৯০৫-১৯০৬ পর্যায়ে। ভবন ডিজাইন করেন চিসটি ব্রাদার্স আর্কিটেক্টস-যারা ওই সময় ঢাকায় কয়েকটি বড় উপকাঠামোতে কাজ করেছিলেন।
তবে নির্মাণের পর পরই প্রশাসনিক অভিমত প্রকাশ পায় যে, ভবনটি গভর্নরের থাকার জন্য আদর্শ নয়, বাড়ির নকশা ও ব্যবস্থা জলবায়ু ও অনুরুপ স্থানীয় পরিস্থিতির সঙ্গে পুরোপুরি খাপ খাইয়ে ওঠেনি বলে মনে করা হয়। ফলে গভর্নর বাসাতে স্থায়ীভাবে বসবাস না করে ওই ভবনটি বিভিন্ন সরকারি কাজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে। ভবনটি পরবর্তীকালে মধ্যবর্তী সময়ে একটি কলেজ এবং বিভিন্ন শাসনিক অফিস হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
বিজ্ঞাপন

স্থাপত্য-পশ্চিমা অনুপ্রবেশ ও আঞ্চলিক ছোঁয়া
পুরাতন হাইকোর্ট ভবনের নকশায় ইউরোপীয় রেনেসাঁ-নিও-কলোনিয়াল ধারার স্পষ্টতা দেখা যায়, কিন্তু একইসঙ্গে এটি উপমহাদেশীয় সুদূর-ফর্ম ও স্থানীয় আর্কিটেকচারাল উপাদানগুলোর মিশেলে গড়ে উঠেছে। ভবনের বাহ্যিক অংশে দ্বিতল আর্কেড, খিলানদার জানালা, বৃহৎ গম্বুজ ও মাঝখানে বিশাল কোর্টইয়ার্ড-এসব উপাদান ভারতের ইন্দো-ইসলামিক আঙ্গিক ও ইউরোপীয় ক্লাসিক্যাল নকশার এক রূপান্তর।
ভবনটি বর্গাকৃতির পরিকল্পনা নিয়ে তৈরি। চারদিক থেকেই ওপেন কোর্টইয়ার্ড, দ্বিতীয় তলায় গ্যালারি- সব মিলিয়ে এটি ‘নিও-কলোনিয়াল’ কল্পনাকে উপস্থাপন করে। আর্কনেট ও লোকাল সরকারি তথ্যসূত্রগুলোতে ভবনের নকশা ও স্থানীয় উপাদানগুলোর সংমিশ্রণের বর্ণনা পাওয়া যায়।
বহু অবলম্বনে দেখা যায়- বৃহৎ স্তম্ভ, খিলানাকার অর্চ, গম্বুজাকার টাওয়ার এবং কংক্রিট-চুণাপাথরের কাজ- এগুলো দুর্দান্ত উপায়ে আবহমান প্রাদেশিক নির্মাণশৈলীর সঙ্গে উপযুক্ত সমন্বয় ঘটিয়েছে। এই শৈলীর কারণে ভবনটি কেবল প্রশাসনিক নয় বরং নাগরিক সৌন্দর্যের দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। রমনার কাঁচাবোলা মাঠ ও কার্জন হলের প্রান্তরে দাঁড়িয়ে থাকা এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা তথা শহরের বুদ্ধিজীবী ও আইনি জীবনের কেন্দ্রবিন্দুতে একটি নিদর্শন।
গভর্নর হাউস থেকে আদালত-ধাপে ধাপে রূপান্তর
প্রাথমিকভাবে গভর্নরের সরকারি বাসস্থান হিসেবে পরিকল্পিত হলেও ভবনটিকে গভর্নরের স্থায়ী বাসভবন হিসাবে ব্যবহার করা হয়নি, এমনটাই ইতিহাস বলছে। ১৯০৫–১৯১১ সময়খণ্ডে বিভাজনকালীন প্রশাসনিক কাজের ধারা বদলাতে থাকে; কিছু সময়ের মধ্যেই ভবনটি বিভিন্ন সরকারি দফতর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে দেওয়া হয়। উপযুক্ত ব্যবহারের কারণে ভবনটি একপ্রকার ‘হাইব্রিড’ কার্যকরী অবস্থায় আঙিনায় থেকে যায় অফিস, পাঠশালা ও অনান্য সরকারি কার্যক্রমের মিলিয়ে।
১৯৪৭ সালে ভারত-বিভাগের পর ঢাকার প্রশাসনিক ও বিচারপদ্ধতির বিন্যাস বদলে যায়। ওই সময় থেকেই এই ভবনটি উচ্চ আদালত (হাইকোর্ট) হিসেবে ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত হয় এবং পরের কয়েক দশক ধরে ‘হাইকোর্ট বিল্ডিং’ নামে পরিচিতি পায়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরও এই স্থাপনা বিচারব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকে-কয়েক পর্যায়ে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রম এখানে স্থায়ী বা আংশিকভাবে রপ্ত করা হয়েছে। সাম্প্রতিককালে কিছু আন্তর্জাতিক বা উচ্চ-প্রোফাইল ট্রাইব্যুনাল ও বিশেষ কোর্টের কার্যক্রমও প্রাচীন ভবনের নির্দিষ্ট অংশে পরিচালিত হয়েছে বলে নথিপত্রে দেখা যায়।
ইতিহাসের সাক্ষী: রাজনীতিক ওঠানামা ও সামাজিক স্মৃতি
একটি পুরনো ভবন কেবল ইট-পাথরের সংকলন নয়; এটি মানুষের জীবন, রাজনীতির ওঠাপড়া, আইনি দ্বন্দ্ব ও সংস্কৃতির মিলনস্থলে পরিণত হয়। পুরাতন হাইকোর্ট ভবন, যেখানে বহুসংখ্যক উচ্চ আদালতির বিচারক বেঞ্চ বসেছে, যেখানে নানা উল্লেখযোগ্য আদেশ ও রায় দেওয়া হয়েছে-এসব স্মৃতি ঢাকাবাসীর বিচার-সচেতনতা ও আইনশৃঙ্খলার ইতিহাসের সঙ্গে আঁটসাঁটভাবে জড়িয়ে আছে। এই ভবনের অভ্যন্তরীর করিডর, বেঞ্চরুম, কোর্টরুম-সবই নির্জীবভাবে বহু বছর ধরে শহরের জাতীয় জীবনের রেশ ধরে চলেছে।
এছাড়া ভবনটি শহরের বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী ও ছাত্রসমাজের জন্যও প্রতীকী জায়গা। কার্জন হলের পাশে অবস্থিত হওয়ায় ছাত্র-রাজনীতি, বিক্ষোভ-প্রদক্ষিণ এবং নাগরিক দাবিগুলো প্রায়ই এই এলাকায় ঘনিষ্ঠভাবে ঘটে। তাই ভবনটি শুধু আইনের প্রতীকই নয়, নাগরিক কণ্ঠস্বরের কাছাকাছি অবস্থানবদ্ধও বটে।
স্থানীয়দের কথা, ‘আপনি যদি ওই ভবনের পিলার ছুঁয়ে দেখেন, ইতিহাস আপনার আঙুলে ধরিয়ে দেবে।’ ঘটনার রেশে ভবনটি অনেক মানুষের জীবনে আলাদা স্মৃতি রচনা করেছে।

রক্ষণাবেক্ষণ ও সংরক্ষণ: চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ
ঐতিহাসিক ভবনের দীর্ঘায়ু ধরে রাখার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত, আর্থিক ও নীতিগত সমস্যা সবসময়ই জড়িয়ে থাকে। পুরাতন হাইকোর্ট ভবনও ব্যতিক্রম নয় বহু ক্ষেত্রে ছাদ, দেয়াল, খিলান ও দরজার কাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি দেখা গেছে। সরকারি বিভিন্ন সূত্র ও ঐতিহাসিক রেকর্ডে ভবনটি নিয়মিত রিকনস্ট্রাকশন ও রিস্টোরেশনের তাগিদ এসেছে। ভারতের ও এখানকার আর্কিটেকচারের বিশেষজ্ঞরা আগেই নির্দেশ দিয়েছেন এ ধরনের বৌদ্ধিক ও নকশাগত ঐতিহ্য রক্ষা করতে হলে আধুনিক উপকরণ ও সতর্ক রিস্টোরেশন পদ্ধতি মেনে চলা জরুরি।
সরকারি পাবলিক ওয়ার্ক্স ডিপার্টমেন্টসহ (পিডাব্লিওডি) বিভিন্ন ঐতিহ্য সংরক্ষণকারী গোষ্ঠী অংশগ্রহণ করে ভবনটির রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করেছে। তবে নগরায়নের চাপ, অর্থায়ন সীমাবদ্ধতা ও প্রশাসনিক অগ্রাধিকারের ঘাটতি মাঝে মাঝে প্রকৃত রক্ষণাবেক্ষণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। নাগরিক ও সুসংগঠিত ইতিহাসপ্রীতিগোষ্ঠীগুলো আহ্বান জানায়, ভবনটির ঐতিহাসিক পরিচয় ধরে রাখতে হবে, যাতে ভবনটি ভবিষ্যত প্রজন্মকেও শহরের ইতিহাস বলতে পারে।
সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক মূল্য: ভবনটি কেবল এক নির্মাণ নয়
পুরানো হাইকোর্ট ভবন-শহরের শিক্ষাবোদ্ধা, আইনজীবী ও পর্যটকদের জন্য একটি ‘জ্ঞানকেন্দ্র’ হিসেবে কাজ করে। কার্জন হলের এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিকটবর্তী অবস্থান ভবনটিকে শিক্ষাবিদদের একটি আকর্ষণীয় অধ্যাবসায় করে তোলে। বহুকাল ধরে এই এলাকায় আড্ডা, আদালত সংক্রান্ত গবেষণা, ঐতিহাসিক চিত্রগ্রহণ ও স্থাপত্য অন্বেষণ চলে আসছে। পর্যটক-সাহিত্যে অনেক নির্দেশিকা ও গাইড ইতোমধ্যে ভবনটিকে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী স্থাপনাগুলোর শীর্ষে রেখেছে।
স্থানীয় ইতিহাস ও স্থাপত্য গবেষকরা মনে করেন- যদি ভবনটি কেবল আদালত চালানোর প্রেক্ষিতে নয় বরং একটি অংশ খোলা যাদুঘর ও তথ্যকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যায়, তাহলে এটি শিক্ষামূলক ও সাংস্কৃতিক কাজে আরও বেশি ভূমিকা রাখতে পারবে। বিশেষভাবে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য সংরক্ষিত ছোট কর্মশালা বা ইতিহাসভিত্তিক প্রদর্শনী এখানে আয়োজন করলে ভবনটির অতিরিক্ত ব্যবহারিক মর্মবোধ প্রকাশ পাবে।
ভবনের সিঁড়ি, বেঞ্চ ও করিডরে যারা বহু বছর কাজ করেছেন, তাদের স্মৃতিচারণা মর্যাদাপূর্ণ। একজন প্রবীণ আইনজীবী, যিনি কয়েক দশক ধরে হাইকোর্ট কোর্টরুমে শুনানি করেছেন, তিনি বলেন, ‘এই ভবনের করিডর দিয়ে হাজারো মামলা গেছে, হাজারো মানুষের ভাগ্য এখানে স্থির হয়েছে। কোর্টরুমের নিরিখে সেখানে যে নীরবতা থাকে, তা গভীরভাবে মানুষের জীবনে ছেঁড়া অনুপ্রবাহ রোজ বইয়ে দেয়।’
এমন ব্যক্তিগত স্মৃতি ভবনটিকে কেবল শিলালিপি নয় বরং মানুষের অনুভূতির কেন্দ্র করে তোলে।

নাগরিকদেরও এই স্থান নিয়ে অধিকার ও দায়িত্বের বোধ রয়েছে। অনেকে মনে করেন, সরকারি স্থাপনার রক্ষণাবেক্ষণ ও সাংস্কৃতিক সংরক্ষণে নাগরিক অংশগ্রহণ বাড়ানো উচিত। বিশেষ করে যখন ভবনগুলো জাতীয় ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ, তখন তাদের নিরাপত্তা ও নীতিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক বলে মনে করেন অভিজ্ঞরা।
স্থানীয় নাগরিক এবং ইতিহাসপ্রেমী মিনা রহমান বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকে এই ভবনের সামনে দিয়ে হেঁটে আসি। এখানে অনেকে আন্দোলন, বিক্ষোভ এবং গুরুত্বপূর্ণ সমাবেশ দেখেছি। এটি শুধু হাইকোর্ট নয়, এটি ঢাকার সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের অংশ।’
ভবিষ্যৎ সংরক্ষণ, ব্যবহারের পুনরায় পরিকল্পনা
পুরনো হাইকোর্ট ভবনের ভবিষ্যৎ কতটা স্থিতিশীল থাকবে, এটি নির্ভর করবে সরকারি নীতির, অর্থায়ন ও নাগরিক চেতনা তিনটির উপর। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, সংরক্ষণ দল ও জ্ঞাত প্রযুক্তির ব্যবহার জরুরি। পাশাপাশি ভবনটিকে কেবল প্রশাসনিক ব্যবহারের বাইরে এনে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাসচর্চার জন্য খোলামেলা রাখলে তা শহরের বহুমাত্রিক সুবিধা বাড়াবে।
উদাহরণস্বরূপ, কোর্টরুমগুলোর কিছু অংশে স্থাপত্য প্রদর্শনী, পুরনো কোর্ট নথিপত্রের সংগ্রহশালা, এবং আইনশিক্ষার্থীদের জন্য পাঠচক্র চালু করা যেতে পারে। এই ধরনের উদ্যোগ ভবনকে নতুন জীবন্ততা যোগ করবে।
একটি ভবন, বহু গল্প
ব্রিটিশ গভর্নর হাউস থেকে হাইকোর্ট, পুরনো এই ভবনের যাত্রাপথ কেবল ইমারতগত পরিবর্তনের গল্প নয়; এটি ঢাকার রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসের ধারাবাহিক সাক্ষ্য। একটি ভবন যে কিভাবে সময়ের সঙ্গে বদলে যায়, তার মধ্যে রাজনৈতিক ক্ষমতার পরিবর্তন, প্রশাসনিক কাজকর্মের স্থানান্তর, নাগরিক অংশগ্রহণ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ, সবই ফুটে ওঠে।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এই স্মৃতিগুলোতে পরিচর্যা করে দেওয়া যদি আমরা স্বীকার করতে পারি, তাহলে পুরনো হাইকোর্ট ভবন শুধুই পাথর ও কংক্রিট নয়, এটি আমাদের ইতিহাসের এক জাগ্রত অধ্যায় হয়ে থাকবে।
এম/এএইচ

