আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের অর্ধেক—অর্থাৎ ১৫০টি আসন নারীদের জন্য বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন নারী নেত্রীরা।
তারা বলেন, নারীদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ বাড়াতে নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় বিশেষ সহায়তা, তহবিল সুবিধা ও নিরাপদ ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে এমন দাবি জানান নারী নেত্রীরা।
বৈঠকের পর উইমেন এন্টারপ্রেনিউর অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট নাসরিন ফাতেমা আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চাই যে নারীর সংখ্যা যেন বাড়ে। এটলিস্ট ১৫০টা সংসদীয় আসন যেন নারীদেরকে দেওয়া হয়। ইলেকশন কমিশনের মাধ্যমে আমরা সরকারকেও বলতে চাই, নারীরা যে ইলেকশনে আসছেন তাদেরকে ডেফিনেটলি সহায়তা দিতে হবে।’
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমেরিকাতেও দেখবেন এরকম কিন্তু নারীদেরকে সহায়তা দেওয়া হয়। সেখানে নারীদেরকে একটু সাহায্য দেওয়া এবং তারা যেন ইলেকশনটা করতে পারেন, সেরকম একটা ব্যবস্থা যেন নারীদের জন্য থাকে। নারীরা যেন স্বাচ্ছন্দে ভোটও দিতে পারেন, সেটা নিয়েও আমরা কথা বলেছি।’
ফাতেমা আউয়াল বলেন, ‘আমরা চাই যে এটলিস্ট ৫০ শতাংশ, আপনার ৩০০টা সিট না বাট ১৫০টা সিট যেন নারীদের জন্য দেওয়া হয়। নারীরা যেন কন্টেস্ট করতে পারে, সেই জিনিসটা আমরা একটু নিশ্চিত করতে চেয়েছি।’
বিজ্ঞাপন
নির্বাচনি তহবিল নিয়ে এই নারী নেত্রী আরও বলেন, ‘নারীদের পক্ষে একটু অসম্ভব, একটু কষ্টকর। একটু না অনেক কষ্টকর। কারণ সহজে কিন্তু ফ্যামিলি থেকেও ফান্ড পাওয়া যায় না নারীদের জন্য, যেটা নাকি পুরুষরা অহরহ পারেন। আমাদের কথা হলো, নারীদেরকে গভমেন্ট যদি একটু সহায়তা করেন তাহলে অনেক নারীই কিন্তু ইলেকশনে আসতে পারবেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে ফাতেমা আউয়াল আরও বলেন, ‘দলগুলোকেও বলতে চাই, কোথাও দেখা যায় যে এটা ৫ শতাংশ, কোথাও দেখা যাচ্ছে ৭ শতাংশ, এভাবে মনোনয়ন দিচ্ছে। এভাবে না করে আমার মনে হয় উনারা যদি বলে যে এত পারসেন্ট দেবে, সেভাবে যদি হয় তাহলে জিনিসটা একটু ব্যালেন্স হবে।’
এমএইচএইচ/এএইচ
