যেকোনো প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট দুর্যোগে শিল্পকারখানার উৎপাদন অব্যাহত রাখা এবং ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার লক্ষ্যে মোংলা ইপিজেডে 'দুর্যোগ প্রস্তুতি ও মাল্টি-হ্যাজার্ড ম্যানেজমেন্ট' শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করে শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন মোংলা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক কালাম মো. আবুল বাশার।
বিজ্ঞাপন
এফবিসিসিআই জানায়, মোংলা ইপিজেডের বিভিন্ন শিল্পকারখানার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করছেন এই প্রশিক্ষণে। সংগঠনটির সেফটি কাউন্সিল এবং মোংলা ইপিজেড যৌথভাবে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মোংলা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘দুর্যোগের পূর্বপ্রস্তুতি ও দুর্যোগকালীন দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে শিল্পকারখানার ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব। পাশাপাশি, কার্যকর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শিল্পের উৎপাদনশীলতা অব্যাহত রাখা যায়।’
তিনি এফবিসিসিআইয়ের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মোংলা ইপিজেডের অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক ওয়াহেদুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাসে কারখানা পর্যায়ে সক্ষমতা বৃদ্ধি অত্যন্ত জরুরি। এই প্রশিক্ষণ অংশগ্রহণকারীদের জ্ঞান, দক্ষতা ও প্রস্তুতি বৃদ্ধি করবে।’
বিজ্ঞাপন
এফবিসিসিআই সেফটি কাউন্সিলের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মো. মঞ্জুর কাদের খান প্রশিক্ষণে উপস্থিত থেকে প্রকল্পের লক্ষ্য ও কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ প্রিপেয়ার্ডনেস পার্টনারশিপ (বিপিপি) প্রকল্পের আওতায় এফবিসিসিআই দেশের শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের দুর্যোগ প্রস্তুতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার ও বেসরকারি খাতের সম্মিলিত উদ্যোগের মাধ্যমে দেশে টেকসই ও নিরাপদ ব্যবসায়িক পরিবেশ গড়ে উঠবে।’
প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য গেটস ফাউন্ডেশন এবং কারিগরি সহায়তার জন্য এশিয়ান ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস সেন্টার (এডিপিসি)-কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান মঞ্জুর কাদের খান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মোংলা ইপিজেডের পরিচালক (প্রশাসন) মো. কাউসার হোসেন, ইপিজেড জোন অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং এফবিসিসিআই সেইফটি কাউন্সিলের কর্মকর্তারা।
এমআর/এআর

