সোমবার, ৬ মে, ২০২৪, ঢাকা

যেভাবে ঘুষ কেলেঙ্কারিতে ফাঁসেন মিজান ও বাছির

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০১:১১ পিএম

শেয়ার করুন:

যেভাবে ঘুষ কেলেঙ্কারিতে ফাঁসেন মিজান ও বাছির

৪০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির বরখাস্ত হওয়া পরিচালক এনামুল বাছির এবং পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। রায়ে মিজানুর রহমানকে তিন বছর এবং এনামুল বাছিরকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।

আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণার পর দুটি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা দুই কর্মকর্তার ঘুষ কেলেঙ্কারির বিষয়টি আবার নতুন করে সামনে এসেছে।


বিজ্ঞাপন


ঘটনার সূত্রপাত ২০১৯ সালে। মূলত এক নারীকে জোর করে বিয়ের পর তা গোপন রাখতে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠে পুলিশ কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে। পরে তাকে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

সেই ঘটনার চার মাস পর ডিআইজি মিজানের সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন। সেই অনুসন্ধানের দায়িত্ব পান দুদকের তৎকালীন পরিচালক এনামুল বাছির। অনুসন্ধান চলার মধ্যেই ডিআইজি মিজান দাবি করেন, তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন দুদক কর্মকর্তা বাছির।

পরে তাদের দুজনের কথোপকথনের কয়েকটি অডিও ক্লিপ একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচার হতে থাকে। তবে এই অডিও ক্লিপটি নিজের নয় বলে দাবি করেন দুদকের পরিচালক এনামুল বাছির। যদিও তদন্তে দুদক তার সঙ্গে মিজানের ঘুষ লেনদেরের প্রমাণ পায়।

পরে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ বাদী হয়ে মামলা করেন।


বিজ্ঞাপন


ঘুষের অভিযোগ ওঠার পর ডিআইজি মিজান ও দুদক পরিচালক এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ২০২০ সালের ২২ জুলাই এনামুল বাছিরকে গ্রেপ্তার করে দুদকের একটি দল। আরেক মামলায় গ্রেপ্তার ডিআইজি মিজানকেও পরে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

তখন থেকে মিজানুর রহমান ও এনামুল বাছির কারাগারেই রয়েছেন। বুধবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মিজানুর রহমানকে এবং নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে এনামুল বাছিরকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের উপস্থিতিতেই বিচারক রায় ঘোষণা করেন।

জেবি

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর