শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

বংশালে ভবনের সিঁড়িতে কলেজছাত্রের মরদেহ, আত্মহত্যা নাকি হত্যা?

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২:১৪ পিএম

শেয়ার করুন:

বংশালে ভবনের সিঁড়িতে কলেজছাত্রের মরদেহ, আত্মহত্যা নাকি হত্যা?
বংশালে ভবনের সিঁড়িতে কলেজছাত্রের মরদেহ, আত্মহত্যা নাকি হত্যা?

পুরান ঢাকার বংশালে সজীব (১৯) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে আগামাসি লেনের চারতলা ভবনের চতুর্থ তলার সিঁড়ি থেকে গলায় জিআই তার প্যাঁচানো অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।

পুলিশের ধারণা, ঘটনাটি আত্মহত্যা হতে পারে। তবে পরিবারের দাবি, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তারা বলছেন, প্রেমিকার মামারা সজীবকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে।


বিজ্ঞাপন


বংশাল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. দুলাল হক জানান, গলায় তার প্যাঁচানো অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। গলায় দাগ ছাড়া শরীরে অন্য কোনো আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

নিহত সজীব স্থানীয় আহমেদ বাউনিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন তিনি।

পরিবারের সদস্যরা জানান, ফলাফল খারাপ হওয়ার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন সজীব। কিছুদিন আগে তিনি তাবলিগ জামাতে অংশ নিতে দোহার গিয়েছিলেন এবং শুক্রবার বাসায় ফিরে আসেন। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে একটি ফোনকল পেয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যান তিনি। কিছুক্ষণ পরই খবর আসে, কাছের একটি বাসার সিঁড়িতে তার মরদেহ পাওয়া গেছে।

সজীবের চাচাতো ভাই ইসমাইল বলেন, ফোন পেয়ে বের হওয়ার পরই তার লাশ পাওয়া যায়। আমাদের ধারণা, প্রেমিকার মামারা পরিকল্পিতভাবে সজীবকে হত্যা করেছে।


বিজ্ঞাপন


আরেক চাচাতো ভাই ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, খাদিজা আক্তার নামে এক মেয়ের সঙ্গে সজীবের ৩–৪ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির মা এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি। মেয়েকে চাপ দিয়ে সম্পর্ক ভাঙতে বাধ্য করেন। এতে সজীব মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।

তিনি আরও বলেন, পরীক্ষায় ফেল করার পর সজীব তাবলিগ জামাতে গিয়েছিল নিজেকে শান্ত করার জন্য। কিন্তু বাসায় ফিরে আসার পরই তার মৃত্যুর খবর পাই।

পুলিশ জানায়, যেই ফ্ল্যাটের সামনে সিঁড়ি থেকে সজীবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়, সেটি ছিল তার প্রেমিকার পরিবারের বাসা। তবে মরদেহ উদ্ধারের সময় ফ্ল্যাটটি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।

ঘটনাটি তদন্ত করছে পুলিশ। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা দায়ের হয়নি।

‎একেএস/এএস

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর