শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

বান্দরবানে দুর্গম এলাকায় নিরাপদ পানির সুবিধা নিশ্চিত করল রবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:৩৩ পিএম

শেয়ার করুন:

বান্দরবানে দুর্গম এলাকায় নিরাপদ পানির সুবিধা নিশ্চিত করল রবি
বান্দরবানে দুর্গম এলাকায় নিরাপদ পানির সুবিধা নিশ্চিত করল রবি। ছবি: সংগৃহীত

গ্রামীণ ও দুর্গম এলাকার মানুষের স্বাস্থ্য ও কল্যাণ উন্নয়নের লক্ষ্যে রবি আজিয়াটা পিএলসি ও গিভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন যৌথভাবে বান্দরবানের থানচি উপজেলার ওয়াকচাকু পাড়ায় নিরাপদ পানীয় জলের সুবিধা নিশ্চিত করেছে। রবির সিএসআর স্বাস্থ্য উদ্যোগ ও টেকসই সম্প্রদায় উন্নয়নের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে বাস্তবায়িত হয়েছে এই প্রকল্প।

বুধবার (২২ অক্টোবর) রবি আজিয়াটা পিএলসির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।


বিজ্ঞাপন


রবি আজিয়াটা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ওয়াকচাকু পাড়ার মানুষ তীব্র পানির সংকটে ভুগছিলেন। এখন এই প্রকল্পের আওতায় ১৩৪ জন স্কুলশিক্ষার্থীসহ মোট ৪১৭ জন বাসিন্দা সারা বছর নিরাপদ পানির সুবিধা পাচ্ছেন।

প্রকল্পের অংশ হিসেবে স্থাপন করা হয়েছে দুটি ৫ হাজার লিটার ধারণক্ষমতার রিজার্ভার এবং আড়াই হাজার ফুট দীর্ঘ পাইপলাইন, যা পাহাড়ি ঢালু এলাকায় টেকসই পানি সরবরাহ নিশ্চিত করেছে। এই ব্যবস্থায় প্রাকৃতিকভাবে পানি পরিশোধন হয় এবং বর্ষাকালেও সরবরাহ নির্বিঘ্ন থাকে।

ফলে দেড় হাজার ফুট উঁচু পাহাড়ে উঠে অনিরাপদ উৎস থেকে পানি আনার প্রয়োজন পড়ছে না, এবং পানি সংগ্রহের সময় প্রায় ৭০ শতাংশ কমে এসেছে। এতে বাসিন্দারা বেঁচে যাওয়া সময় শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও গৃহস্থালি কাজে ব্যয় করতে পারছেন। পাশাপাশি ডায়রিয়া, টাইফয়েড, কলেরা ও আমাশয়ের মতো পানিবাহিত রোগের ঝুঁকিও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।

picture


বিজ্ঞাপন


রবি আজিয়াটা পিএলসির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, নিরাপদ পানির নিশ্চয়তা শুধু মৌলিক চাহিদা নয়; এটি স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনের ভিত্তি। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে পাশে থাকতে রবি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই প্রকল্প আমাদের সেই প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন।

গিভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আহমেদ ফাহমি বলেন, সৃজনশীল প্রকৌশল সমাধান ও স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণে আমরা এমন একটি টেকসই পানির ব্যবস্থা তৈরি করেছি, যা প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে।

এই প্রকল্প জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ‘সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ’ এবং ‘বিশুদ্ধ পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন’-এর সঙ্গে সরাসরি সামঞ্জস্যপূর্ণ। রবি একটি দায়িত্বশীল করপোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখছে—এই উদ্যোগ তারই বাস্তব উদাহরণ।

এমআর/এআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর