জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দুই উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন না— এমন সংবাদ প্রকাশ নিয়ে গণমাধ্যমের সমালোচনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) জুলাই সনদ স্বাক্ষরের পর নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক একাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, আজকের জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের এক দৃশ্য যেন আমাদের হৃদয় ছুঁয়ে গেল। দুই ছাত্র উপদেষ্টা— মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ— যে আন্তরিকতায় শহীদ মীর মুগ্ধের বাবা এবং শহীদ তাহির জামান প্রিয়’র মাকে মঞ্চে বসিয়ে দিলেন, তা ছিল সত্যিই অনন্য সুন্দর এক মুহূর্ত।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, সেই দৃশ্য যেন জানিয়ে দিল— জুলাইয়ের শহীদ পরিবারের সদস্যরাই কেবল শহীদ নয়, তারা আমাদের বেঁচে থাকা সবার পরিবারও।
তবে একই অনুষ্ঠানের বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ‘দুই উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন না’— এমন শিরোনাম দেখে হতাশা প্রকাশ করেন ফয়েজ আহম্মদ। তিনি লেখেন, এই ভালোবাসার দৃশ্য যখন আমাদের চোখে প্রশান্তি এনে দিল, তখনই চোখে পড়ল কয়েকটি গণমাধ্যমের শিরোনাম: ‘জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যাননি দুই ছাত্র উপদেষ্টা।’ আচ্ছা, আমাদের গণমাধ্যম কি অভ্যুত্থানের পরেও দায়িত্বশীল হওয়ার প্রয়োজন অনুভব করে না?
নিজের সাংবাদিকতা জীবনের অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে ফয়েজ আহম্মদ লেখেন, আমি নিজেও তো একসময় ছিলাম সাংবাদিক। গণমাধ্যমের ভেতরের দুর্বলতা, সীমাবদ্ধতা, পক্ষপাত— এসব নিয়েই লিখতাম, বলতাম, তর্ক করতাম। এখন অনেক সময় চুপ থাকি— কারণ কেউ মনে করতে পারে, সরকারে এসে বলছি।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, কিন্তু ভাই, আমি তো জানি— বেঁচে থাকলে আবারও সাংবাদিকতায় ফিরব। সেজন্যই আজও গণমাধ্যমের পেশাদারত্বের ঘাটতি আমাকে ভীষণভাবে ব্যথিত করে। কারণ আমি জানি, একদিন এই দেশকে, এই অভ্যুত্থানকে, আর আমাদের স্বপ্নকে সঠিকভাবে লিখে রাখার দায়িত্বও শেষ পর্যন্ত সেই গণমাধ্যমেরই।
/এএস

